দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীতে কত প্রকৃতির গ্রামই না রয়েছে। তবে এই গ্রামগুলো একেবারেই ভিন্নভাবে অবস্থিত। এই গ্রামগুলি পানির ওপর অবস্থিত। যাকে এক কথায় বলা যায়, ভাসমান গ্রাম। এমন কয়েকটি ভাসমান গ্রামের কথায় তুলে ধরবো পাঠকদের সামনে। অজানা এসব গ্রামের কথা অবশ্যই পাঠকদের মনে গেঁথে থাকবে।
হা লং বে ভাসমান গ্রাম
এখানকার অধিকাংশ মানুষই সমুদ্রে ভাসমান। এই দ্বীপের অধিকাংশ মাটি চাষ করার একদমই অনুপযোগী। হা লং বে মাছ এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক খাবারের জন্য বিখ্যাত। তারা তাদের ধরা মাছ বিক্রি করে বড় বড় নৌকার মালিকের কাছে। তারা প্রতি সকালে বাজারে তাজা মাছের সরবরাহ করে। হা লং বে ভাসমান গ্রামটি ভিয়েতনামে অবস্থিত।
কো পানায়ী গ্রাম
কো পানায়ী একটি মুসলিম গ্রাম। এটা থাইল্যান্ডের পাং এন গা রাজ্যে অবস্থিত। এই গ্রামে অন্তত দুইশ’ পরিবার বাস করে। অন্যভাবে বলা যায়, প্রায় ১৫শ থেকে ২ হাজার মানুষ এখানে বাস করে। এই গ্রাম গড়ে উঠেছে দুইটি সামুদ্রিক মুসলিম পরিবার থেকে। এই গ্রামে একটি মুসলিম বিদ্যালয় আছে যেখানে প্রতি সকালে নারী এবং পুরুষ উভয়ই অংশগ্রহণ করে। এই গ্রামটি বর্তমানে টুরিস্টদের জন্য খুব বেশি সুবিধা গড়ে ওঠেনি। টুরিস্টরা এখানে আসেন শুধু শুষ্ক মৌসুমে। এখানে একটি ফুটবল মাঠও আছে। যেটা ফিফা ফুটবল ১৯৮৬-এ প্রেরণায় গড়া।
গ্রিয়েথ্রন
এই গ্রামের অধিকাংশ লোকজন চলাচল করে পানি ওপর দিয়ে এবং এটা করে ‘পান্টার’ কিছু নৌকা যেটায় ইলেট্রিক মটর লাগানো রয়েছে। তারা সাধারণত শান্তি বিনষ্ট করে না। অনেক বাড়ি ঘর-এর আশপাশের ছোট ছোট দ্বীপে অবস্থিত যেখানে যাতায়াত করার একমাত্র মাধ্যম হলো কাঠের ব্রীজ। এই গ্রামে প্রায় ২৬২০ জন বাসিন্দা রয়েছে। এই গ্রামটি নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত।