দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আগেকার আমলের রাজা-বাদশারা কখন কি করতেন তা কেও জানতেন না। ক্ষমতার বলে সব কিছু গোপন থাকতো। এমনই এক রাজার কবর খুঁড়ে পাওয়া গেলো এক রহস্যময়ী নারীর সন্ধান। ঘটনাটি ইংল্যান্ডের।
আগেকার আমলের রাজা-বাদশাহরা কখন কি করতেন তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। আবার তাদের কর্মকাণ্ড কখনও ফাঁস হতো না। কারণ অধিনস্থ কর্মচারীরা ছিল বিস্বস্ত। এর কারণ হলো রাজারা কখনও এর ব্যতিক্রম দেখলে রেগে যেতেন। এবং কোনো গোপনীয়তা ফাঁস হলে শুলে চড়ানো হতো অধিনস্থদের। আর সে ভয়ে কখনও কোনো কিছু ফাঁস হতো না। এমনই এক কাহিনী এবার সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। ঘটনাটি ইংল্যান্ডের। দেশটির তৃতীয় রাজা রিচার্ডের কবর খুঁড়ে তার পাশেই এক নারীর কবর খুঁজে পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। রাজার কবরের পাশে কিভাবে বা কারা দিলো এই কবর? আর এই নারীই বা কে এ প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা হাড়গোড় পরীক্ষা করে দেখেছেন, কবরে যিনি শায়িত ছিলেন তিনি একজন বয়স্ক নারী। খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ হতে চতুর্দশ শতকের কোনো এক সময় তাকে কবর দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গবেষকদের মনে করছেন, এই নারী ছিলেন উচ্চ মর্যাদার কেও। কিন্তু রাজার বংশ পরিচয় বিশ্লেষণ করে এর হিসাব মেলানো যাচ্ছে না কোনো ভাবেই। কারণ রাজা তৃতীয় রিচার্ড ১৪৮৩ সাল হতে ১৪৮৫ খীস্টাব্দে যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হওয়া পর্যন্ত ইংল্যান্ড শাসন করেছেন। ইতিহাস থেকে জানা যায় তাকে গ্রে ফ্রায়ার্স আশ্রমে তড়িঘড়ি করে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। আর তাই এখানে নারীর কোনো সধাধি থাকার কথা নয়।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৬শ’ শতাব্দীতে ওই আশ্রমটি ধ্বংস করা হয়। পরে এটি কালের গহ্বরে হারিয়ে যায়। ২০১২ সালে ইউনিভার্সিটি অব লিচেস্টারের গবেষকরা এটির অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হন। তারপর একটি পার্কিং স্থানের নিচে খুঁড়ে রাজার কবর এবং আশ্রমটির আরও গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবান জিনিসপত্র পাওয়া যায়। তবে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় ওই নারীর কবরটি।
কিভাবে ওই নারীর কবরটি এলো সেটি এখনও রহস্যাবৃত রয়েছে। তবে গবেষকরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে।