দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীর সুখী মানুষের বাসস্থান হলো সুইজারল্যান্ড। সম্প্রতি গবেষণা করে ১৫৮টি দেশের মধ্যে সুখী দেশ হিসেবে বাছাই করা হয়েছে সুইজারল্যান্ডকে।
আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে সুখি? সে প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়তো কঠিন হবে। কিন্তু না এবার সেটি খুব সহজেই বলা যাবে। কারণ একদল গবেষকরা গবেষণা করে পেয়েছেন, পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষের বসবাস হলো সুইজারল্যান্ডে। ১৫৮টি দেশের মধ্যে দীর্ঘ গবেষণা চালিয়ে বাছাই করা হয়েছে সুইজারল্যান্ডকে। গত বৃহস্পতিবার ওই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। বার্ষিক বিশ্ব খুশি বা সুখী রিপোর্ট অনুযায়ী সুইজারল্যান্ডের পরেই রয়েছে আইসল্যান্ড, ডেনমার্ক, নরওয়ে এবং কানাডার নাম।
দুঃখিতম দেশ টোগো
সমীক্ষায় আরও উঠে এসেছে, টোগোতে বসবাস করেন পৃথিবীর সবচেয়ে দুঃখিতম মানুষরা। দুঃখিতম দেশের তালিকায় এরপরেই রয়েছে বুরান্ডি, বেনিন, রোয়ান্ডার ও সিরিয়ার নাম। সাস্টেনেবল ডেভলপমেন্ট সল্যুউশন নেটওয়ার্ক নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই সমীক্ষা চালায়।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর জেফরি সাচস বলেছেন, ‘এই রিপোর্ট প্রমাণ করে কীভাবে কোন দেশের মানুষদের খুশি রাখা যায়। তবে এই বিষয়টি শুধুমাত্র অর্থের নয়, এরসঙ্গে সততা, সুস্বাস্থ্য, বিশ্বাস এবং সুবিচারের ওপরও নির্ভরশীল।’
সুখী দেশ সুইজারল্যান্ড
মানুষের খুশি থাকার গুরুত্ব বুঝেই জাতিসংঘ ২০১২ সাল হতে আন্তর্জাতিক সুখী দিবসের ঘোষণা করে। আর তাই ২০১২ সাল হতেই প্রকাশিত হয়ে আসছে এই রিপোর্ট।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, সমীক্ষার মূল বিষয়গুলো ছিল- স্বাস্থ্যের সুরক্ষা, সামাজিক সহায়তা, নির্বাচনের স্বাধীনতা এবং পার ক্যাপিটা গ্রস ডমেসটিক প্রোডাক্ট। এই বিষয়গুলোর মাপকাঠির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন দেশের মানুষের খুশি থাকার ইনডেক্স তৈরি করা হয়। প্রথমবার এই ডাটাতে গবেষকরা স্থান, লিঙ্গ এমন কি বয়সকে পৃথক করে ভেঙে সমীক্ষা চালিয়েছেন।
সুখী দেশ সুইজারল্যান্ড
সমীক্ষায় দেখা যায়, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি মাত্রায় নিজেদের সুখ খুঁজে পান। আবার দেখা গেছে যে, বয়স্কদের তুলনায় অল্পবয়সীরা গড়ে বেশি খুশি থাকেন।
এবছর প্রথম ১০ সুখীতম দেশের তালিকায় ৯টি দেশ ২০১৩ সালের তালিকাতেও ছিল। যদিও র্যাঙ্কিংয়ে গতবছর ডেনমার্ক ছিল সবার শীর্ষে। সারা বিশ্বের আর্থিক মন্দা কীভাবে মানুষের সুখের উপর বিপরীত প্রভাব ফেলেছে তাও এই রিপোর্টে ধরা পড়ে।