দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক সময়ের চাকচিক্য নেপাল এখন এক বিধ্বস্ত নগরীতে পরিণত হয়েছে। স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ৭ হাজার ছড়িয়ে গেছে।
ভূমিকম্প মানুষকে এতোটা অসহায় করে ফেলে সেটি নেপালকে না দেখলে হয়তো বিশ্বাসই করা যেতো না। বাড়ি-গাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য, পরিবার-পরিজন সবই ছিল এক সময়। কিন্তু এখন তাদের কিছুই নেই। এখন এক অসহায় মানুষের পরিণত হয়েছেন নেপালের এক এক জন।
ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়া ছাড়াও পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে এক বুকফাটা আর্তনাদ করে বেড়াচ্ছেন নেপালের সাধারণ মানুষগুলো। নিরন্ন অবস্থায় তাবুতে দিন যাপন করছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। কখন সাহায্য আসবে, কখন ত্রাণ সামগ্রী ও খাদ্য আসবে- সে আশায় বসে থাকতে হচ্ছে এসব মানুষকে।
প্রকৃতির এই নির্মম হামলার শিকার নেপালের মানুষগুলো এখন এক অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। যাদের এক-আধটু মাথা গোজার ঠায় রয়েছে তারাও আবার ভূমিকম্পের ভয়ে তাবুতেই দিন কাটাচ্ছেন। কতদিন তাদের এভাবে কাটাতে হবে তা কেও জানে না।
আহত অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছে বহু মানুষ। জীবনের টানা-পোড়েনের মধ্যেও যারা বেঁচে আছেন তারা সুস্থ্য জীবনে ফিরতে পারবেন কি না তাও জানা নেই তাদের। কেও বা পা হারিয়েছেন, কেওবা হাত। এমনিভাবে পঙ্গু হয়ে হয়তো বাকি জীবন কাটাতে হবে তাদের। সামান্য এক দুই মিনিট সময়ে ওদের নিয়তিকে পাল্টে দিয়েছে এভাবে।
যুগে যুগে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষকে নানাভাবে নাজেহাল করেছে। সৃষ্টিকর্তার এহেন নিয়মকে কেও কোনদিন অস্বীকারও করতে পারে না। কিন্তু তারপরও মানুষ আবার বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে। কখনওবা উঠে দাঁড়ায় আবার আগের মতোই। নেপালের এবারের এই ভূমিকম্প বিশ্বের খ্যাতিমান পর্যটন এলাকা হিসেবে যে খ্যাতি ছড়িয়ে ছিল তা ধুলিসাৎ হয়ে গেছে। এখন নেপাল এক বিধ্বস্ত নগরী। যারা এই শহরটিকে এক সময় বেড়াতে এসেছেন তারা যদি এখন সেখানে যান তাহলে থমকে দাঁড়াবেন। ভাববেন এ কিভাবে সম্ভব? প্রাকৃতিক দুর্যোগ একটি নগরীকে এভাবে দুমড়ে-মুচড়ে বিধ্বস্ত করে দিতে পারে?
তবে এখন নেপালীদের পাশে বিশ্ববাসী যেভাবে এগিয়ে এসেছেন- সেটিই একমাত্র ভরসা। সমগ্র বিশ্বের দেশগুলো যদি নেপালকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে হয়তো একদিন আবার উঠে দাঁড়াবে আজকের বিধ্বস্ত নেপাল। আর আমাদের প্রত্যাশাও তাই।