দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে নানা সমালোচনা শুরু হয়। আজ ফোন করে ভারতে রয়েছেন জানার পর প্রশ্ন উঠেছে তিনি কিভাবে সেখানে গেলেন। তবে সালাহউদ্দিন দাবি করেছেন তাকে অপহরণ করা হয়েছিল।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজের পর থেকেই দেশজুড়ে চলে নানা সমালোচনা। আইনশৃংখলা বাহিনী তাকে উঠিয়ে নিয়েছে বলে পরিবারের দাবির পর নানা সমালোচনা শুরু হয়। তার পরিবার বার বার সরকারের দিকে উঙুল তোলেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছেও আবেদন করেন সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। আজ দুপুরে খবর আসে তিনি ভারতের একটি মানসিক হাসপাতালে আছেন।
সর্বশেষ সংবাদে জানা যায়, ভারতের মেঘালয়ে গ্রেফতার বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, তাকে দুই মাস আগে ঢাকার উত্তরা হতে অপহরণ করা হয়েছিল। সংবাদ মাধ্যমগুলো এমন খবর দিয়েছে। অপহরণের পর হতে আর কিছুই মনে করছে পারছেন না বলেও দাবি করেছেন বিএনপির এই যুগ্মমহাসচিব।
মেঘালয় পুলিশ গতকাল সোমবার গ্রেফতারের পর সালাহ উদ্দিনকে স্থানীয় একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা মানসিক কোনো সমস্যা না থাকার কথা জানালে তাকে অপর একটি সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়েছে যে, গ্রেফতারের পর মেঘালয় পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারলেও হাসপাতাল স্থানান্তরের সময় সালাহ উদ্দিন নিজেই বলেন, ‘হ্যাঁ, আমিই বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন। আমাকে ঢাকার উত্তরা হতে অচেনা লোকজন তুলে নিয়েছিল। আমি জানি না আমি কিভাবে এখানে এলাম।’ আর ‘অপহরণের’ পর কিছুই মনে করতে পারছেন না বলে জানান ৫৪ বছর বয়সী এই রাজনীতিক। তবে তিনি দেশে ফেরার পর সব কিছু পরিষ্কার হবে।
উল্লেখ্য, ১০ মার্চ নিখোঁজ হওয়ার পর তার কোনো খোঁজ ছিল না। আজ মঙ্গলবার তিনি ঢাকায় স্ত্রী হাসিনা আহমেদকে টেলিফোন করলে বিষয়টি বাংলাদেশেও জানাজানি হয়ে পড়ে। হাসিনা আহমেদ ইতোমধ্যে শিলং যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।