দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন নিয়ে আবার সরব হয়েছে সেদেশের অধিবাসী বিষয়টি নিয়ে। ভারতে বসবাসকারীদের মধ্যে বাংলাদেশী হিন্দু-শিখরা সেদেশে বৈধতা পাবে- এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশ বা পাকিস্তান হতে ভারতে গিয়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী হিন্দু এবং শিখ সম্প্রদায়ের লোকদের ভারতে আইনি বৈধতা দেওয়ার চিন্তা করছে মোদি সরকার। সামনের বছর অনুষ্ঠিতব্য আসাম রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এমন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে ভারত।
তবে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যারা পাশের এই দুই দেশ থেকে ভারতে গিয়ে বসবাস করছেন শুধু এমন হিন্দু ও শিখদেরই এই সুবিধা দেওয়া হবে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এসব অবৈধ বসবাসকারীদের বৈধকরণের প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে।
১৯৮৫ সালে সাক্ষরিত কেন্দ্রীয় সরকার ও আসাম রাজ্য সরকারের মধ্যকার ‘আসাম অ্যাকর্ড’ অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কোনো সুযোেই নেই। ওই চুক্তির ধারা অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশের থেকে যাওয়া শরনার্থীদের ফেরত পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু গত বছর ভারতের জাতীয় নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মোদি দুই প্রতিবেশী দেশ হতে আসা অবৈধ বসবাসকারীদের বৈধতা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে ওই চুক্তিটি সংশোধনেরও উদ্যোগ নিয়ে ভারসাম্য রক্ষার কথা ছিল মোদি সরকারের। যা নিয়ে সেদেশের রাজনীতিতে এক উত্তাপ দেখা দিয়েছে।
গত ২৭ এপ্রিল আসামে সফরে গিয়ে বিজেপি প্রধান অমিত শাহ ঘোষণা দেন, এই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশ হতে আসা হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, শাসকদল কংগ্রেসও এমন মনোভাবের পক্ষে। আসামের সরকার প্রধান তরুণ গগৈ মানবিকতা বিবেচনায় একাধিকবার বাংলাদেশ হতে যাওয়া অবৈধ হিন্দুদের নাগরিকত্ব প্রদানের পক্ষে কথা বলেছেন।