দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লন্ডনের একটি স্কুল এবার রোযা পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবে মুসলিম শিক্ষার্থীদের উপর রোযা পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে পূর্ব লন্ডনের ওই স্কুলটি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় মুসলমানদের ওপর নানা ফ্যাসিবাদী মনোভাব দেখানো হচ্ছে। কখনও হেজাব পরা নিয়ে বিধি নিষেধসহ নানা ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এবার ঘটলো লন্ডনে। সেখানকার একটি স্কুল কর্তৃপক্ষ মুসলিম শিক্ষার্থীদের ওপর রোযা পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কথিত বহুসংস্কৃতি ও ধর্মীয় উদারতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আবারও মুসলমান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার এমন একটি ঘটনা ঘটলো যুক্তরাজ্যে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, মুসলিম শিক্ষার্থীদের বাবা মায়ের কাছে লিখা চিঠিতে লন্ডনের বার্কলে প্রাইমারি স্কুলটির কর্তৃপক্ষ লিখেছে, ‘যদিও রমজান মাসটি প্রতিটি মুসলমানের জন্য খুবই বিশেষ একটি মাস, কিন্তু তারপরও এই মাসে স্কুলে মুসলিম শিশুদের রোযা পালন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই মাসটি স্কুলের খুবই ব্যস্ত সময় এবং শিক্ষার্থীদের ওপরও প্রচুর চাপ পড়বে। তাই সামারের এই সময়ে একটি শিশু না খেয়ে এতো দীর্ঘ সময় স্কুলের কার্যক্রমে থাকতে পারবে না।’
ওই বিদ্যালয়টি দাবি করেছে যে, তারা গ্রহণযোগ্য ধর্মীয় সূত্রে জানতে পেরেছেন, ‘শিশুদের উপর রোয়া বাধ্যতামূলক নয়। কেবলমাত্র যারা প্রাপ্তবয়স্ত তাদের উপর রোযাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’ যদিও বিদ্যালয়টি বলেছে, ‘‘প্রাপ্তবয়স্ক’ শব্দটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী সুস্থ থাকাকেই রোযার উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। এর আগেও রোযা পালন করতে গিয়ে অনেক শিশু অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই তারা এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এদিকে স্কুলের এমন সিদ্ধান্তে স্থানীয় মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় মুসলিম নেতারা বলছেন, শিশুরা রোযা পালন করবে কি করবে না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে একমাত্র শিশুর অভিভাবক। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষের এহেন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও স্থানীয় মুসলিম ধর্মাবলম্বিরা।