দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কালে কালে বিজ্ঞানীরা নানা আবিষ্কারের মাধ্যমে আমাদের জীবনকে করে দিয়ে সৌন্দর্যমণ্ডিত। সেইসব বিখ্যাতদের আবিষ্কারের সময়কার মজার ঘটনা আজকের এই প্রতিবেদনে।
টমাস আলভা এডিসন। নামটি আমাদের কাছে ভীষণভাবে পরিচিত। কারণ হলো টাংস্টেন তারের পৃথিবীর প্রথম বৈদ্যুতিক বাল্বটি আবিষ্কার করেন তিনি। তাঁর জন্যই আজ আমরা বৈদ্যুতিক আলো উপভোগ করছি।
টমাস আলভা এডিসন যখন প্রথম বৈদ্যুতিক বাল্বটি আবিষ্কার করেন তখন তার ল্যাবে ভীষণ ভীড়-ভাট্টা, বন্ধু-বান্ধবে গিজগিজ করছে। খবর পেয়ে সাংবাদিকরাও হাজির হলেন। বাল্বটি যখন প্রথমবারের মতো জ্বলে উঠলো, তখন সবাই আনন্দে আত্মহারা- সবাই হই হই করে উঠলো ।
তখন এডিসন সাবধানে বাল্বটি খুলে তার চাকরের হাতে দিয়ে বললেন, ‘সাবধানে পাশের ঘরে রেখে আসো।’ সাবধানে বলার কারণেই কিনা এডিসনের বেকুব চাকর পৃথিবীর প্রথম বাল্বটি তৎক্ষণাৎ হাত হতে ফেলে দিয়ে ভেঙে চুরমার করে দিলেন। এমন ঘটনার পর আশে-পাশের সবাই হায় হায় করে উঠলো। হতভম্ব হয়ে পড়লেন চাকরটি। তবে এডিসন তাকে কিছু বললেন না।
কিছুদিন পর এডিসন দ্বিতীয়বারের মতো আরেকটি বাল্বটি তৈরি করলেন । এটিই পৃথিবীর দ্বিতীয় বৈদ্যুতিক বাল্ব। এবারও তার ল্যাবে ভীড় জমলো ঠিক আগের মতোই। ওইসব সাংবাদিক ও বন্ধ-বান্ধব সেদিনও ওইস্থানে হাজির হলেন।
টমাস আলভা এডিসনের দ্বিতীয় বাল্বটিও জ্বলে উঠলো। সবাই আনন্দে আবারও হই হই করে উঠলো। এবারও এডিসন বাল্বটি সাবধানে পাশের ঘরে রেখে আসার জন্য তার ওই চাকরকে ডাকলেন । এডিসনের কথা শুনে সবাই আঁৎকে উঠলো, ‘কি করছেন,
কি করছেন, ওই গাধাটা আবার বাল্বটা ভাঙবে। আপনি নিজ হাতে রেখে আসুন, অথবা আমাদের কারো হাতে দিন।
কিন্তু এডিসন স্মিত হেসে বললেন- ‘ও যদি এবারও বাল্বটা ভাঙে সেটা আমি আবার তৈরি করতে পারবো। কারণ এর ম্যাকানিজমটা আমার মাথায় রয়ে গেছে; কিন্তু প্রথম বাল্বটি ভাঙ্গার পর আমার চাকরের আত্মবিশ্বাস ভেঙে যে চুরমার হয়েছে সেটা জোড়া লাগাতে বাল্বটা এবারও তার হাতেই দিতে হবে।’ চাকরটি অবশ্য পৃথিবীর দ্বিতীয় বাল্বটি না ভেঙ্গে সঠিক জায়গায় রেখে আসতে সমর্থ হন।
ঘটনাটিতে একটি বিষয় প্রমাণ হয় যে, কাওকে ছোট করে দেখতে নাই। আত্মবিশ্বাস মানুষের একটি বড় গুণ। তাছাড়া ঠাণ্ডা মাথায় সবকিছুকে ম্যানেজ করা মানুষের একটি বড় বৈশিষ্ট্য।
তথ্যসূত্র: অজানা জ্ঞান (Unknown Knowledge) এর সৌজন্যে।