দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন মানুষের বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকিয়ে দেওয়া সম্ভব। তাদের দাবি নবীন রক্ত বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করবে!
বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন মানুষের বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকিয়ে দেওয়া সম্ভব। তাদের দাবি নবীন রক্ত বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করবে! টনি ওয়াসি-কোরে নামে এক গবেষক জানিয়েছেন, রক্তের কল্যাণেই কৈশোর যৌবনে ও যৌবন জরায় রূপান্তরিত হয়। তিনি বলেছেন, নবীন রক্তই পারে প্রবীণের জরা বিলম্বিত করতে।
অ্যালঝাইমার্স নিয়ে গবেষণা শুরু করে গবেষক টনি দেখতে পান যে, বুড়ো হওয়ার আগেই, যৌবনকালে আগাম বলে দেওয়া সম্ভব এই রোগ হবে কিনা। তার দাবি নবীন রক্তের ভিতরেই লুকিয়ে রয়েছে যৌবনের চাবিকাঠি।
অনপরদিকে স্টেম কোষ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন আরেক গবেষক থমাস রান্ডো। শরীরের কোষগুলিকে সুস্থ এবং কর্মক্ষম রাখতে ওই কোষের প্রয়োজন। তবে প্রবীণদের স্টেম কোষ ঠিকমতো কাজ করে না। যে কারণে বৃদ্ধ বয়সে কোনও ক্ষত হলে তা সারতে বেশি সময় লাগে।
থমাসের মাথায় একটি প্রশ্ন এলো, কোনও সঙ্কেত পেয়ে স্টেম কোষ কি কাজ বন্ধ করে দেয়? সেই সঙ্কেত তবে কি রক্তই বয়ে বেড়ায়? ঠিক এই জায়গাতেই এসে দুই গবেষকের প্রশ্নের চেহারার মিলে যায়। তারা একমত হয়ে একসঙ্গে কাজ শুরু করলেন।
প্রথমে ইঁদুরের উপরেই নানা পরীক্ষা চালানো হলো। তরুণ ইঁদুরের রক্ত ঢুকিয়ে দেওয়া হলো প্রবীণ ইঁদুরের শরীরে। এবার যা দেখা গেলো, তাতে চোখ কপালে উঠে গেলো গবেষকদের! দেখা গেলো যে, রক্ত বেশ কিছু প্রোটিন বহন করে যা কোষকে সতেজ রাখে। আবার কিছু প্রোটিন কোষকে বুড়োটে করে ফেলে।
কম বয়সীদের রক্তে এরকম সতেজ করার প্রোটিনগুলি খুব বেশি থাকে। বয়স যত বাড়তে থাকে, ততই কমতে থাকে এই প্রোটিনগুলির পরিমাণ। কাজেই প্রবীণের শরীরে নবীন রক্ত যেনো এক ‘মিরাক্কেল’ ঘটিয়ে ফেললো!
উল্লেখ্য, টনিদের এই ধারণা অবশ্য নতুন কিছু নয়। ১৬১৫ সালে জার্মান চিকিৎসক আন্দ্রেজ লিবাভিয়াস এমনই একটা কথা বলেছিলেন। লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটি-র হয়ে বিষয়টি নিয়ে গবেষণাও করছিলেন রবার্ট বয়েল।