দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চলচ্চিত্রের ভয়ংকর খলনায়ককেও ছাপিয়ে যায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার আচরণ, কুকীর্তি ! তার কুকীর্তির প্রমাণ দিতে যেন ধসে পড়া রানা প্লাজার নয়তলা বাণিজ্যিক ভবন থেকে উদ্ধার হলো চাইনিজ পিস্তল, সাথে ম্যাগাজিন ও গুলি।
রাতে উদ্ধারকর্মীরা ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে উদ্ধার চালানোর সময় ভবনের সম্মুখ অংশ থেকে পিস্তলটি উদ্ধার করেন।
সোহেল রানার বিরুদ্ধে হত্যা, দখলবাজি, মাদক ব্যবসা, গুম, চারিত্রিক স্খলনজনিত সব অভিযোগই আছে। রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার আছে নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী। স্থানীয় লোকজনের ধারণা, সেই ক্যাডার বাহিনী পরিচালনার জন্যই ভবনে অস্ত্র রাখতেন সোহেল রানা।
অস্ত্র উদ্ধারের প্রেক্ষিতে, সাভার থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হতে পারে বলে পুলিশ সুত্র জানিয়েছে! ম্যাগাজিন ও গুলিসহ পিস্তলটি সাভার থানায় জমা রয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধার অভিযানে দায়িত্বরত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাসেম।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে সাভার কলেজের ভিপি ছাত্রদলের নেতা হেলালউদ্দিনের ডানহাত বলে পরিচিত গাড়িচালক জাকিরের সঙ্গে পরিচয় হয় সোহেল রানার। গাড়িচালক জাকিরের সঙ্গে সোহেল রানার বোন সুফিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। এভাবেই ছাত্রদলের নেতা হেলালউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার পরিবারের। হেলালউদ্দিনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে সোহেল রানা গড়ে তোলেন সন্ত্রাসী বাহিনী। এলাকায় তাঁর বাহিনী পরিচিতি পায় ‘রানা বাহিনী’ নামে।
সন্ত্রাসী বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে সোহেল রানা গড়ে তোলেন বিভিন্ন ব্যবসা। ২০০৭ সালে তিনি নির্মাণ করেন রানা প্লাজা। এক সনাতন ধর্মাবলম্বীর জমি দখল করে কোনো রকমে খাড়া করা তাঁর এই ৯ তলা ভবনটি বুধবার ধসে পড়ে।
২৪ এপ্রিল (বুধবার)সাভার ট্রাজেডির পর থেকেই উদ্ধার অভিযান চলছে। আজ শুক্রবার দুপুর ২টা নাগাদ উদ্ধার করা হয়েছে ৫০১ জনের মৃতদেহ। এবং উদ্ধার হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক।