দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার ফতোয়ার জবাব দিয়েছেন অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। রাজা একাডেমি নামে মুম্বাই ভিত্তিক একটি সুন্নি মুসলমানদের সংগঠন সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মজিদ মাজিদীর বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয়।
গত সপ্তাহে রাজা একাডেমি নামে মুম্বাই ভিত্তিক একটি সুন্নি মুসলমানদের সংগঠন সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা মজিদ মাজিদির বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয়। ওই ফতোয়াতে বলা হয়, ‘মুহাম্মদ (সা.) : মেসেঞ্জার অব গড’ সিনেমা নির্মাণে জড়িত থাকার কারণে রহমান এবং মাজিদি ‘ধর্মদ্রোহী’ হয়ে গেছেন। তাদের বিয়েও ‘অবৈধ’ হয়ে গেছে।’
এতোদিন পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন এ আর রহমান। ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমি সিনেমাটি পরিচালনা বা প্রযোজনা করিনি শুধুমাত্র সঙ্গীত করেছি। ওই সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে যে আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা আমার একান্ত ব্যক্তিগত এবং আমি সেটি শেয়ার করতে চাই না।’
এ আর রহমান আরও জানান, ‘নিজের সৎ ইচ্ছা দ্বারাই ওই সিনেমার সঙ্গীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কাওকে আঘাত করার অভিপ্রায় তার কখনও ছিল না।’
অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান জানান, ‘এটা তার বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই সিনেমায় সঙ্গীত না করলে তিনি হাশরের দিনে প্রশ্নের মুখোমুখি হতেন।’ এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, “শেষ বিচারের দিন যদি আল্লাহ তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আমি তোমাকে বিশ্বাস, মেধা, টাকা, খ্যাত এবং স্বাস্থ্য দিয়েছি, কেনো তুমি আমার পেয়ারা রাসুল (স.)-কে নিয়ে নির্মিত সিনেমায় সঙ্গীত করোনি?”
এ আর রহমান জানান,‘ মানবতাকে এক করার ধারণার উপর এই সিনেমার সঙ্গীত তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভুল বার্তা ছড়ানো হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, মুহাম্মদ (স.) এর জীবনী ভিত্তিক উচ্চাভিলাষী ট্রিলজি সিনেমার প্রথম পর্ব হলো ‘মুহাম্মদ (সা.) : মেসেঞ্জার অব গড’। ইরানে নির্মিত এর সঙ্গীত করেছেন এ আর রহমান। আর তাতেই আপত্তি মুসলমানদের কিছু অংশের। রহমান এবং মাজিদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভারতের মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগও করেছে ওই সুন্নি মুসলমানদের সংগঠন রাজা একাডেমি।