দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি গৃহপালিত পশু-পাখি মানুষের উপকার করে। তবে গৃহপালিত পশু নয়, আবার ভয়ঙ্কর কিছু প্রাণী রয়েছে যারা মানুষের উপকার করে।
সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষ ও পশু-পাখিদের মধ্যে বেশ ভাব দেখা যায়। তবে সেটি ঘটে গৃহপালিত পশু-পাখিদের মধ্যে। যদিও এসব গৃহপালিত পশু-পাখি ছাড়াও বনের কিছু হিংস্র জন্তু রয়েছে, যেগুলোর সঙ্গে মানুষের বেশ সখ্যতা গড়ে ওঠে। যেমন এদের মধ্যে রয়েছে সিংহ বা বাঘের মতো হিংস্র জন্তুও। আর খুব জনপ্রিয় উপকারী জীবজন্তুদের মধ্যে রয়েছে কুকুর, ঘোড়া, গরু ইত্যাদি।
তবে আরও কিছু ভয়ঙ্কর জীবজন্তু রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। এসব ভয়ঙ্কর জীবজন্তু মানুষের উপকার করে যাচ্ছে।
সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী ডলফিন
সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী ডলফিন আমরা সবাই চিনি। এরা মানুষের অনেক উপকার করে থাকে। বটলনোস ও ক্যালিফোর্নিয়ার সি লায়ন, এরা অ্যামেরিকার নৌ বাহিনীতে যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করে থাকে। শুধু তাই নয়, এরা সমুদ্রে মাইন খোঁজার কাজেও মানুষকে সাহায্য করে থাকে।
বিদ্যুৎ প্রদানকারী সামুদ্রিক ইল
প্রতিটি প্রাণীকে সৃষ্টিকর্তা আত্মরক্ষার জন্য কিছু না কিছু ক্ষমতা দিয়েছেন। সামুদ্রিক ইলেকট্রিক ইল-এরও এমন একটি ক্ষমতা রয়েছে, যা দিয়ে সে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে। ৮ ফুট লম্বা দক্ষিণ অ্যামেরিকার ইলেকট্রিক ইল ৫০০-৬০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। এরাও মানুষের উপকার করে সমুদ্রের মধ্যে।
গবেষকরা কাজ করে যাচ্ছেন, এই ইল-এর বিদ্যুৎ কোষকে বায়ো মেডিক্যাল ডিভাইস অথবা ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ব্যবহার করা যায় কি না তা নিয়ে।
ল্যান্ড মাইন ডিটেক্টর ইঁদুর
ল্যান্ড মাইন ডিটেক্টর বা মাইন খোঁজার কাজে ব্যবহার করা হয় আফ্রিকার বৃহদাকার ইঁদুরকে (Giant pouched rat)। এরা খুব দ্রুতই বিষয়টি শিখে নিতে পারে। একটি মানবিক সংস্থা APOPO এইসব ইঁদুরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
ধ্বংসস্তুপের ভিতর হতে মানুষকে খুঁজে বের করার এবং গ্যাস লাইনের লিকেজ খুঁজে বের করার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় এসব ইুঁদরকে। শুধু তাই নয়, মানুষের থুতুর স্যাম্পল হতে যক্ষ্মার জীবাণুর উপস্থিতিও নির্ণয় করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এসব ইঁদুরকে।