দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঐতিহাসিক জিনিসপত্রগুলো মাঝে-মধ্যেই নিলামে আসে। এমনই একটি ঐতিহাসিক ২০০ বছরের পুরনো রয়েল মেইল কোচ নিলামে উঠেছে!
তথ্যমতে, এটিই সর্বশেষ টিকে থাকা একমাত্র রয়েল মেইল কোচ। নিলামে ওঠা এই রয়েল মেইল কোচটি ৭০ হাজার পাউন্ডে বিক্রি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জানা যায়, ১৮০০ শতকের শুরুতে এক সিংহ এই কোচটিকে আক্রমণ করার পর তা ঠাঁই পেয়েছিলো জাদুঘরে। বিভিন্ন ক্রিসমাস কার্ডের প্রচ্ছদেও দেখা যায় এই ঐতিহাসিক রয়েল মেইল কোচের ছবি।
২০০ বছরের পুরনো ঘোড়াচালিত রয়েল মেইলটি বাংলাদেশী টাকার হিসেবে এটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেয়ে একটু বেশি দামে বিক্রয়মূল্য হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইতিহাসের নানা তথ্যে জানা যায়, স্বর্ণযুগে এই কোচটি ছিলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। রয়েল মেইলের আগমনের সঙ্গে শহরের ঘড়ির সময় নাকি নির্ধারণ করা যেতো। দ্রুতবেগে ছুটে যাওয়া রয়েল মেইল দেখতে পথে বহু লোক জড়ো হতো। আর চালকেরা যদি এক মিনিট দেরি করতো তাহলে এর পোস্টাল ওয়ার্কারদের নাকি দিতে হতো জরিমানা।
জানা যায়, লাল-কালো কাঠের ওয়াগনটি ‘কুইকসিলভার’ নামে অধিক পরিচিত ছিলো। কারণ এটিই ছিলো সবচেয়ে দ্রুতগামী কোচ। কুইকসিলভার প্রতিদিন লন্ডন হতে কর্নওয়ালের ফালমাউথের উদ্দেশ্যে ছুটে যেতো।
জানা যায়, এটিকে নাকি এক সিংহ আক্রমণ করে। আর তখন সঙ্গে সঙ্গে চালকরা নেমে পাশের একটি পানশালায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে এর মালিক তার কুকুরের সাহায্যে সিংহটিকে ওখান হতে তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হন। এরপর পোস্টাল ওয়ার্কাররা ওয়াগনে চেপে বসেন। সে রাতে তাদের মেইল পৌঁছাতে ৪৫ মিনিট দেরি হয়ে যায়। এটিই হলো কুইকসিলভারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
সিংহ আক্রমণের পর আর এটি ব্যবহার করা হয়নি। পরবর্তীতে ইয়র্কশায়ারের ট্রান্সপোর্ট মিউজিয়ামে বহু বছর সংরক্ষিত ছিলো এই রয়েল মেইল কোচ। সেটিই এবার নিলামে উঠলো। আগামী ১০ ডিসেম্বর কোচটি বিক্রি হবে বলে জানা যায়। এটির সম্ভাব্য বিক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৫০ হাজার পাউন্ড হতে ৭০ হাজার পাউন্ড।