দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা ঝরনা দেখেছি। সেগুলো পানির এক অঝোর ধারা। পাহাড় বেয়ে অবিরত নেমে আসছে ঝরনার পানি। কিন্তু আজ রয়েছে আজব এক আগুনের ঝরনা কাহিনী!
আগুনের ঝরনা ধারার এমন এক ঝরনার কাহিনী রয়েছে আজ। এক সংবাদে জানা যায়, ফেব্রুয়ারী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সূর্যের আলো জলপ্রপাতের উপর ডান কোণ বরাবর সূর্যালোক পতিত হয়। যে কারণে ঝরনাটিকে অনেকটা কমলা রংয়ের দেখা যায়। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি এই অগ্নি জলপ্রপাত ইয়সমিতের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মনোরম দৃশ্য। এই ঝরনাটির নাম হলো ‘হরসেটাইল ঝরনা’।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বিষয়টি পরিষ্কার করে বলা হয়, যে পর্যন্ত সূর্যালোক সঠিকভাবে ঝরনার পানির উপর পতিত না হবে, সে পর্যন্ত এই মনোরম দৃশ্যটি দেখা যাবে না।
তবে জলপ্রপাতটি অবশ্যই প্রজ্বলিত হতে হবে। ঝরনাটি ১,৫৭০ ফুট উচু হতে এল কেপিটান-এর পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়। সেখানকার তাপমাত্রা অবশ্যই বেশ উষ্ণ হতে হবে। তাপমাত্রা ঠাণ্ডা থাকলে সেক্ষেত্রে বরফ গলবে না এবং ঝরনায় পানি প্রবাহিত হবে না। শরৎকালে এখানে কোনো পানি প্রবাহিত হয় না। অক্টোবর মাসে আবার একই কোণে সূর্যালোক পতিত হবার কারণে ফেব্রুয়ারী মাসের মতোই অগ্নি ঝরনার সৃষ্টি হয়ে থাকে। তবে অক্টোবর মাসের বেশীরভাগ সময় নাকি হরসেটাইল ঝরনা শুকনো অবস্থায় থাকে।
সেখানে প্রায় ১০০ বছর ধরে মানুষ বসবাস করে আসছেন। এরমধ্যে ইন্ডিয়ানদের সংখ্যায় বেশি। তারা এই ঝরনার অস্তিত্ব অনেক আগে থেকেই জানতো। আবার তারা এ সম্পর্কে কোনো তথ্যও কোনদিন কারও সঙ্গে শেয়ার করেনি। সর্বপ্রথম সাদা অভিযাত্রীদের দল ১৮৫১ সালে এই ঝরনা সম্পর্কে জানতে পারেন। এই বিস্ময়কর প্রাকৃতিক ঝরনার কথা তখন প্রচার পায়। আর তারপর মানুষ জানতে পারে এই আজব আগুনের ঝরনার কাহিনী।
দেখুন ভিডিওটি