দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর আইন করে মুসলমানদের ওপর যে বাড়তি পুলিশী নজরদারি আরোপ করা হয়েছিল দীর্ঘদিন পর মুসলমানদের ওপর নিউ ইয়র্কে সেই বাড়তি নজরদারি বন্ধ হচ্ছে।
সেই বাড়তি পুলিশী নজরদারি আরোপের দীর্ঘ একযুগ পর নিউ ইয়র্কে সমঝোতা চুক্তির মধ্যদিয়ে তার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। নিউইয়র্ক সিটি প্রশাসনসহ পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ক্ষুব্ধ মুসলিম সম্প্রদায়’ এবং ‘সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের’ করা দুটি মামলার প্রেক্ষিতে গত ৭ জানুয়ারি ম্যানহাটনের ফেডারেল কোর্টে এই সমঝোতাটি হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী নিউইয়র্ক পুলিশের নজরদারিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে তদারকির জন্য একজন স্বাধীন অ্যাটর্নি নিয়োগ করা হবে।
ওই সমঝোতায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যে কোনো ধরনের তদন্তের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী অনুযায়ী, নাগরিকের মৌলিক অধিকার কোনো ক্রমেই লঙ্ঘিত হবে না- এমন প্রক্রিয়া অবলম্বন করবে নিউইয়র্ক পুলিশ। ‘ধর্মীয় এবং জাতিগত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী কারও বিরুদ্ধে যে কোনো কারণেই হোক তদন্ত করলে তার সময়সীমা বেঁধে দিতে হবে ও সেইসঙ্গে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হবে যে, ধর্ম অথবা বর্ণের কারণে কাওকে ‘টার্গেট’ করা যাবে না। এমন কিছু করা হলে, তা হবে বে-আইনি। তাছাড়াও ২০০৭ সালে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ‘ধর্মীয় উগ্রপন্থি’ শীর্ষক যে প্রতিবেদনটি তাদের ওয়েবসাইটে রয়েছে, সেটি সরিয়ে ফেলতে হবে।’
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট সবার স্বাক্ষরিত সমঝোতা-চুক্তির ওই অনুলিপিটি ফেডারেল কোর্টের বিচারক চার্লস হ্যাইটের এজলাসে জমা দেওয়া হয়েছে।