দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন কথা আমরা আগে কখনও শোনা যায়নি। এবার এমন একটি কথা সকলকে বিস্মিত করেছে। এক ব্যক্তি কেবলমাত্র মজা করার জন্য ৪১ জনকে খুন করেছেন!
পুলিশের হাতে আটক হওয়া ব্রাজিলের ২৬ বছর বয়সী এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণের স্বীকারোক্তি শুনে সকলেই হতবাক। সেলসন হোসে দাস গ্রাসাস নামের এই তরুণ বলেছেন, ‘আমার বয়স যখন ১৭ তখন জীবনে প্রথমবারের মতো এক নারীকে আমি খুন করলাম। এতে বেশ আনন্দ পেলাম। আমি এটা চালিয়ে যেতে লাগলাম। আমি ব্যাপারটা ভালোই উপভোগ করতাম।’
সেলসন হোসে দাস গ্রাসাস নামের এই তরুণ গত দশ বছরে কেবলমাত্র মজা করার জন্য ৪১ জনকে খুন করেছেন। এক নারীকে হত্যার সময় সেলসন হোসে দাস গ্রাসাসকে পুলিশ গত ৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করে। পরের দিন ব্রাজিলের গ্লোবো টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।
সংবাদ মাধ্যমকে পুলিশ কমিশনার পেদ্রো হেনরিক মেদিনা জানান, ‘সেলসন শুধু শেতাঙ্গ নারীদের হত্যা করতেন। কোনো কৃষ্ণাঙ্গ নারীকে সে এখন পর্যন্ত হত্যা করেনি। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৪ নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাঁকিগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
অভিযুক্ত সেলসন হোসে দাস গ্রাসাস জানান, তিনি এ পর্যন্ত মোট ৪১ জনকে হত্যা করেছেন। এদের মধ্যে ৩৭ জনই নারী। ৩ জন পুরুষ এবং ২ বছর বয়সের একটি শিশুও রয়েছে। এক নারীকে হত্যা করার সময় শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছিল। কারণ হলো তার ভয় হচ্ছিল যে, শিশুটি ওই সময় চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা জেনে যেতে পারে সে ভয়ে তাকে খুন করা হয়।
হত্যাকাণ্ড ও প্রস্তুতির বিবরণ সম্পর্কে সেলসনের বক্তব্য হলো, ‘কাওকে হত্যার কথা যখন চিন্তা করতাম, তখন তাকে নিয়ে ২/৩ মাস চিন্তা করতাম।’ সেলসনের এমন বক্তব্য শুনে পুলিশ থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ বিস্মিত। কোনো স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে এমন কথা বলা কী সম্ভব?
তবে এমন গর্হিত কর্মকাণ্ডের জন্য কোনো আক্ষেপ বা অনুতাপ নেই জানিয়ে এই ভয়ঙ্কর খুনি বলেছেন, ‘আমি যদি ১০, ১৫, ২০ বছরের জন্য জেলে যাই তবে যখনই বের হয়ে আসবো, তখন একই কাজ আবার শুরু করবো!’