দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কথাটি রূপকথার গল্পের মতো শোনা গেলেও বাস্তবে সত্যি ঘটনা এটি। মানুষের বাড়ি বাড়ি যিনি কাজ করে বেড়াতেন তিনি এখন মডেল!
এমন একটি কাহিনী সত্যিই রূপকথার গল্পের মতোই। বাস্তব জীবনে এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা কেও কল্পনাও করতে পারেন না। কিন্তু এবার তাই হয়েছে। যিনি বাড়ি বাড়ি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি এখন মডেল। তবে এর নেপথ্যে রয়েছেন মনদীপ নেগি নামে এক ডিজাইনার। গল্পটার শুরুও ঠিক এখান থেকেই।
মনদীপের বাড়ি ভারতের হরিয়ানায়। তিনি যে ফ্ল্যাটে থাকেন তার উল্টো দিকেই একটি ফ্ল্যাটে পরিচারিকার কাজ করতেন বিপাশা (পরিবর্তিত নাম)। পরিচারিকার কাজ করেই সংসার চালাতো বিপাশা। ছোট্ট খুপরির মধ্যে দুই ছেলেমেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে তার সংসার চলতো। মনদীপের অনেক দিন ধরেই সাধ ছিল এমন একজনকে তিনি মডেল হিসাবে তুলে ধরবেন, যিনি হবেন ট্র্যাডিশনাল মডেলিং হতে একেবারেই পৃথক। তবে হন্যে হয়ে ঘুরতে হয়নি তাকে। কোনও নামকরা মডেলের কাছেও ছুটে যেতে হয়নি মনদীপকে। পেয়ে গেলেন খুব সহজে হাতের কাছেই। মডেলিংয়ের সব খোরাকই পেয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাড়িতে কাজ করতে আসা বিপাশার মধ্যে। একদিন তাকে প্রস্তাবটা দিয়ে ফেলেন মনদীপ।
প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি বিপাশার। কী শুনছেন তিনি? এটি কী সত্যি, নাকি তিনি স্বপ্ন দেখছেন? একজন পরিচারিকাকে মডেল করার প্রস্তাব কেনো দিচ্ছেন মনদীপ মজা করছেন না তো? মনে মনে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল বিপাশার। প্রস্তাবটি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার জন্য মনদীপের কাছে সময়ও নেন তিনি। অবশেষে রাজিও হয়ে গেলেন বিপাশা।
মনদীপ বলেন, বিপাশা যখন প্রথম ফটোশুট করে, দেখে মনেই হয়নি যে এই প্রথম ও ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছে। এখন বিপাশা অন্যতম সেরা মডেল। মডেলিংয়ের জন্য পোশাক পরে, মেকআপ করে যখন আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন বিপাশা, চমকে ওঠেন নিজেকে দেখে, তিনি সত্যিই বিপাশা তো! তার মধ্যে যে এই রূপ সুপ্ত অবস্থায় ছিল সেটি মনদীপের হাতের ছোঁয়ায় সত্যিই প্রাণ পেলো। মনদীপকেও নিরাশ করেননি বিপাশা, প্রমাণ করে দেখিয়েছেন তাকে মডেল হিসাবে বেছে নিয়ে তার কোনও ভুল হয়নি।