দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একের পর এক নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ ও তাতে সফলতার কারণে সৌদি আরবের নারীদের সম অধিকারের দাবি জোরালো হচ্ছে।
দেশটির সাম্প্রতিক পৌর নির্বাচনে ২১ জন নারী নির্বাচিত হয়েছেন। সৌদি আরবের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কোনো জন দপ্তরে নারীরা কাজ করার সুযোগ পেলেন। এদেরই একজন হলেন রাশা হেফজি। একজন সফল ব্যবসায়ী হওয়া সত্ত্বেও দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাকে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। প্রথম দিনেই তাকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তিনি কখনও পুরুষ সহকর্মীদের সঙ্গে এক টেবিলে বসতে পারবেন না!
রাশা হেফজি অবশ্য হাল ছাড়তে নারাজ। তিনি বলছেন যে, এ ধরণের নানা সমস্যার সঙ্গে আমরা আগে থেকেই পরিচিত। তাই বলে হতাশ হবার কিছু দেখছি না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি পাল্টে যাবে বলেই তিনি মনে করছেন।
তিনি বলেছেন, প্রথম কাউন্সিলে যখন গেলাম, আমি তখন বুঝেছি অনেকেই আমাকে সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। তবে আস্তে আস্তে তাদের মনোভাব বদলাতে শুরু করেছে। বিগত কয়েক বছরে সৌদি আরবে নারী ক্ষমতায়নে বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে।
নারী অধিকার কর্মীদের দাবি, এখনও দেশটির নারীরা পুরুষদের সমান অধিকার পাচ্ছেন না। তারা মনে করেন, অনেক কিছুই পুরুষরা করতে পারেন, তবে দেশটিতে নারীদের তা করতে দেওয়া হয় না। যেমন- নারীদের গাড়ি চালনা নিষিদ্ধ। কিন্তু অনেকেই বলছেন, কয়েক বছর আগে যখন বিশেষ ডিক্রি দিয়ে, বাদশাহর উপদেষ্টা পরিষদ হিসাবে পরিচিত, শুরা কাউন্সিলে ৩০ জন নারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়, তখন হতেই মূলত দেশটিতে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। এই ৩০ জনের একজন হলেন ড. লুবনাল আনসারী। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে নারীদের জয়ী হয়ে আসার মতো বিষয়টি অনেকের কাছে আঘাত লেগেছে। তবে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। নারী অধিকার কর্মীরা মনে করেন, নারীদের সম অধিকারের দাবি জোরালো হচ্ছে। এখন আর সৌদি নারীদের দমিয়ে রাখা যাবে না।