দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কখনও বলছেন তাদের দেশ থেকে বাংলাদেশী মুসলিমদের তাড়িয়ে দেবেন। আবার কখনও সেইসব মুসলিমদের আযানের জন্য ভাষণের বিরতি ঘটাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা চলছে, হঠাৎ শোনা গেলো আযানের ধ্বনি। আর সেই আযানের জন্য ভাষণে বিরতি দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নির্বাচন উপলক্ষে সেখানে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় পার্শ্ববর্তী একটি মসজিদে আজান শুরু হওয়ায়ি তিনি কিছুক্ষণের জন্য তার ভাষণ বন্ধ করে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নির্বাচনে নিজের দলের পক্ষে মুসলমানদের ভোট টানতে মোদি এমন কাজ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিআই (এম)-কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াই শুরু করেছেন নরেন্দ্র মোদি।
নরেন্দ্র মোদি সোমবার ভারতের বিএনআর ময়দানে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেন। ওই ময়দানের খুব কাছেই ছিল গোলবাড়ি মসজিদ। মোদি ভাষণ দেওয়ার সময় ওই মসজিদ হতে আযানের ধ্বনি ভেসে এলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বক্তৃতা দেওয়া বন্ধ করে দেন। আযান শেষ হলে মোদি পুনরায় বক্তৃতা দেওয়া শুরু করেন। মোদি বলেন, ‘এটা আমাদের পরম্পরা (ঐতিহ্য)। আমাদের অবশ্যই সব ধর্ম ও তাদের রীতিনীতি এবং প্রথাকে শ্রদ্ধা করতে হবে।’ নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই শ্রদ্ধা করতে হবে যাতে ভারতের ঐক্য সব সময় বজায় থাকে।’
আযান শেষ হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি আরও ২০ মিনিট ভাষণ দেন। ওই জনসভায় ব্যাপক লোকসমাগম ঘটে। খড়গপুর শহরের মুসল্লিরা সব ধর্মের প্রতি ‘সম্মান’ প্রদর্শনের জন্য নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন এবং বলেন এটি একটি দৃষ্টান্ত।