দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি শরীরের বা পরনের কাপড় আমাদের লজ্জা নিবারণ করে থাকে। কিন্তু এবার এর ভিন্নতা পাওয়া গেলো। এবার জানা গেলো তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে পরনের কাপড়।
পরনের কাপড় এখন থেকে শুধু শরীরের লজ্জা নিবারণেই নয়, পরবর্তী প্রজন্মের শক্তি মজুদ, নিজের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, রঙ পরিবর্তন ও কম্পিউটার সেন্সরের মতো কাজ করবে। পরিধানযোগ্য প্রযুক্তিকে আরও একধাপ সামনের দিকে এগিয়ে নিতে এমআইটি প্রফেসর ওয়েল ফিঙ্ক এমন এক কাপড় তৈরির স্বপ্নই দেখছেন।
খবরে বলা হয়েছে, স্বপ্নের সেই কাপড় মানুষের শারীরিক অবস্থা ট্র্যাক করে চিকিৎসায় সহায়তা করবে। এটি কেমন দেখতে সেটিই একমাত্র বিষয় নয়, এই কাপড় আমাদের জন্য কি করতে পারে সেটিও বিবেচনার বিষয় হতে পারে। বলা হয়েছে যে, এই কাপড় মানবদেহের জন্য শক্তি মজুদ করবে। এমনকি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে। যে কারণে এটি অতিরিক্ত গরম কিংবা ঠাণ্ডা হবে না বলে জানানো হয়েছে। এ তথ্য দিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
এই কাপড় সম্পর্কে এমআইটি প্রফেসর ওয়েল ফিঙ্ক বলেন, ‘এটি সত্যিই দারুণ। কাপড় তৈরির ইতিহাসে এটি নতুন একটি সম্ভাবনা।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘এই বস্তু আপনার শরীরে লেগে রয়েছে, তবে আপনি এটি হতে কি উপকার পাচ্ছেন সেটিই দেখার বিষয়।’
এমআইটি প্রফেসর ওয়েল ফিঙ্ক মনে করেন, তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলে এই কাপড়ের তৈরি বিছানার চাদর আমাদের নিখুঁত তাপমাত্রা প্রদান করবে। এমনকি ঘুমেও সহায়তা করবে। ফিঙ্ক আরও মনে করেন, এই কাপড় গাড়ির টায়ার হতে শিশুর ডায়পার সব স্থানেই ব্যবহার করা যাবে। যে কারণে এটি নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানাতে পারবে কখন টায়ার কিংবা ডায়পার পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়বে। তাছাড়াও এই কাপড় স্ট্রোকের রোগীকে গ্লাভসের মাধ্যমে সব ধরণের বস্তু অনায়াসে ধরতে এবং সরাতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, কাপড়টি তৈরি করতে ইতিমধ্যেই ৩১.৭ কোটি মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু প্রদেশও। এই বিষয়ে সাড়ে ৭ কোটি ডলার অনুদান দেবে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশটির ডিফেন্স সেক্রেটারি অ্যাস্টন কার্টার গত ২ এপ্রিল এমআইটিতে এই ঘোষণাও দিয়েছে।