দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরাক এবং সিরিয়ায় আস্তানা স্থাপনের দুই বছরের মধ্যে তাদের হাতে প্রাণ গেছে প্রায় ৪ হাজার মানুষের। আইএসের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে এসব মানুষকে শিরচ্ছেদ, গুলি করে কিংবা আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দিয়েছে। সেইসঙ্গে সিরীয় জনগণকে আইএসের অপরাধ এবং সহিংসতা হতে বাঁচানোর জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এই মানবাধিকার সংস্থাটি। টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনে এ খবর দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালের জুন মাসে ইরাক এবং সিরিয়ায় দখলকৃত অঞ্চলে খিলাফত ঘোষণার পর হতে গত ২২ মাসে আইএসের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে মুখের বিচারে প্রায় ৪ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। শিরচ্ছেদ, গুলি, আগুনে নিক্ষেপ করে কিংবা বিভিন্ন বর্বর কায়দায় এসব মানুষের প্রাণ নিয়েছে আইএস জঙ্গিরা।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সমকামিতা, ধর্মবিদ্বেষ কিংবা স্বধর্মত্যাগ, মাদক গ্রহণ বা পাচারের অভিযোগ এনে ৪ হাজার ১৪৪ জন বেসামরিক সিরীয়দের হত্যা করেছে আইএস জঙ্গিরা। খবরে বলা হয়, এরমধ্যে তিন দফায় প্রায় ২ হাজার ২৩০ জনকে হত্যা করে আইএস। এদের মধ্যে অধিকাংশ ছিল সুন্নি ও কুর্দি মুসলিম।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট অনলাইন বলেছে, আইএসের হাতে প্রাণ যাওয়া এসব সিরীয়দের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। তাছাড়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনীর যোদ্ধা এবং বিদ্রোহী গ্রুপের সদস্য ও তাদের পরিবার আইএসের হাতে খুন হয়েছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।