দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ খারিজ করে দিয়েছে। কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন। এই বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়ার পর সরকার দণ্ড কার্যকর করবে।
যে কারণে একাত্তরের হত্যা, ধর্ষণ ও বুদ্ধিজীবী গণহত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর আমিরের দণ্ড কার্যকরে আর কোনো আইনি বাধা রইলো না।
নিয়ম অনুযায়ী একাত্তরের বদরপ্রধান নিজামী এখন কেবল নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনার কথা বলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন। এই বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়ার পর সরকার রায়ের দণ্ড কার্যকর করবে।
প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ আজ (বৃহস্পতিবার) এক শব্দের এই রায় ঘোষণা করেন। বেলা সাড়ে ১১টায় এজলাসে বসে প্রধান বিচারপতি শুধু বলেন, ‘ডিসমিসড’।
বেঞ্চের অপর তিন সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আপিল বিভাগের এই বেঞ্চ গত ৬ জানুয়ারি নিজামীর আপিলের রায় ঘোষণা করেছিল। ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া প্রাণদণ্ডের সাজাই তাতে বহাল থাকে।
উল্লেখ্য, জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউল রহমান নিজামী একাত্তরে ছিলেন এই দলটির ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নাজিমে আলা বা সভাপতি। আর সেই সূত্রে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য গঠিত আল বদর বাহিনীর প্রধানও ছিলেন তিনি। তার পরিকল্পনা, নির্দেশনা এবং নেতৃত্বেই যে আলবদর বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছিল- এই মামলার বিচারে তা প্রমাণিত হয়েছে।