দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৭ জুন ২০১৬ খৃস্টাব্দ, ৩ আষাঢ় ১৪২৩ বঙ্গাব্দ, ১১ রমজান ১৪৩৭ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি মৌলভীবাজারের ঐতিহাসিক গয়ঘর খোজার মসজিদ। প্রাচীন স্থাপত্যকলার এক অনন্য নিদর্শন এটি।
প্রাচীন স্থাপত্যকলার এক অনন্য নিদর্শন হলো মৌলভীবাজারের এই ঐতিহাসিক গয়ঘর খোজার মসজিদ।
৫০০ বছরের বেশি পূর্বে নির্মিত এই মসজিদ নিয়ে লোকমুখে ছড়িয়ে রয়েছে নানা কাহিনী। তবে অপরিকল্পিত সংস্কারকাজের কারণে এই ঐতিহাসিক স্থাপত্যকলা বিনষ্ট হওয়ার পথে।
মৌলভীবাজার শহর হতে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মোস্তফাপুর ইউনিয়নের গয়ঘর গ্রামে টিলার মতো একটি স্থানে এই খোজার মসজিদের অবস্থান। দেওয়ালের শুভ্র রঙে দূর হতেও জ্বলজ্বল করে এই ঐতিহাসিক মসজিদটি। এর মেঝে এবং গম্বুজে টাইলস লাগানো। ৩টি বড় দরজা ও ৬টি ছোট দরজা। ভেতরে পূর্ব দিকের স্তম্ভে রয়েছে ‘বাঘের পায়ের ছাপ’!
স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই মসজিদটি যখন নির্মাণ করা হচ্ছিল, তখন ঘন জঙ্গলে পূর্ণ ছিল এই এলাকাটি। আর তাই এখানে বিচরণ ছিল বাঘের। হয়তো সে সময়ই কোনো বাঘ মসজিদের কাঁচা দেওয়ালে থাবা দিয়েছিলো। কয়েক’শ বছর ধরে টিকে রয়েছে সেই বাঘের পায়ের চিহ্নটি। দেওয়ালের ওপরের দিকে আরবি লেখা; ফুল-লতার নানা ছবি আঁকা। পশ্চিমের দেওয়ালে কৃষ্ণ পাথরের বহু পুরোনো একটি শিলালিপি। চুরি ঠেকাতে লোহার খাঁচার বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে এটিতে। মসজিদের দেওয়ালের ইটের গাঁথুনি অনেক পুরু। মূল মসজিদ দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থে ২৪ হাত করে। গম্বুজটি ১৮ ফুট উঁচু।
ঐতিহাসিক ও সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থাপনা হওয়ায় বহু দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ দেখতে আসেন মসজিদটি। অনেকে আবার এটিকে গায়েবি মসজিদও বলে থাকেন।
স্থানীয়দের মধ্যে প্রচলন রয়েছে যে, মসজিদের বাইরে দুটি বড় কষ্টিপাথর ছিল, এগুলো নাকি রাতের আঁধারে ঘোরাফেরা করতো! তাই পাথর দুটিকে মানুষ মনে করতো জীবন্ত। পাথরে হাত দিয়ে অনেকেই সে হাত লাগাতেন মুখে-বুকেসহ শরীরে। ভক্তি করে পাথর ধোয়া পানিও খেতেন অনেকেই। পাথর নিয়ে হেলাফেলা করলে সেগুলো কেও আর তুলতে পারতেন না। একটি পাথর নাকি একসময় ‘মারা গেলে’ সেটি পাশের দিঘিতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। অপরটি পরে চুরি হয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
ছবি ও তথ্য: www.prothom-alo.com এর সৌজন্যে।