দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ক্রেডিট কার্ড নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ অনেক ঘটনায় ঘটেছে। ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জালিয়াতি রোধ করতে প্রযুক্তিবিদরা ফিঙ্গার প্রিন্টের চিন্তা ভাবনা করছেন।
টেলিগ্রাফ এ বিষয়ে এক খবর দিয়েছে। ওই খবরে বলা হয়েছে, প্রযুক্তি উদ্যোক্তারা বলছেন, মানুষের আঙুলের শিরার এই ধরনের ক্রেডিট কার্ড কিংবা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত করা গেলে ছোট একটি স্ক্যানারে আঙুল রেখেই লেনদেন করা সম্ভব হবে। তাতে করে নগদ অর্থ কিংবা ক্রেডিট কার্ড বহনের ঝামেলা একেবারেই থাকবে না। অর্থাৎ প্লাস্টিক ক্রেডিট কার্ডকে বিদায় দেওয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তারা!
ম্যাকডোনাল্ডের মতো প্রতিষ্ঠানও ফিঙ্গার-স্ক্যানিং পেমেন্টপ্রযুক্তি ব্যবহার করতে শুরু করেছে। এই প্রযুক্তিটির নাম ‘ফিঙ্গো পে’। এটি তৈরি করেছে ব্রিটিশ উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান স্টালার। এই পদ্ধতিতে একটি বায়োমেট্রিক রিডারের মাধ্যমে ক্রেতার আঙুলের শিরা স্ক্যান করা হয়ে থাকে। এতে করে ওই ক্রেতার শিরার একটি মানচিত্র তৈরি হয়। প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে এই মানচিত্রটি অনন্য।
এই স্টালার প্রতিষ্ঠা করেছেন নিক ড্রাইডেন নামের একজন উদ্যোক্তা। শীঘ্রই লন্ডনের একটি নাইট ক্লাবে এই প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করা হবে বলে জানা গেছে। এটি পাসওয়ার্ড কিংবা পিনের চেয়েও বেশি নিরাপদ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফিঙ্গো পে বিষয়ে ভিসা ইউরোপের উদ্ভাবনী সহযোগী প্রতিষ্ঠান কোলাবের পরিচালক হেনড্রিক ক্লেইনসমিড বলেছেন, ‘বর্তমান বিশ্বে নানা জালিয়াতির কারণে মানুষ নিরাপদ অথেনটিকেশন পদ্ধতি হিসেবে বায়োমেট্রিক গ্রহণ করতে প্রস্তুত।’
স্টালারের দাবি হলো, বিশ্বে ৩৪০ কোটি মানুষের মধ্যে একই রকম আঙুলের শিরার গঠন হওয়ার সম্ভাবনা মাত্র দুজনের। এই শিরা স্ক্যানারটি তৈরি করেছে হিটাচি। বর্তমানে এটি জাপানে ক্যাশ মেশিনে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে রিটেইল হিসেবে এটি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে কেবল স্টালারের। তাই সব বিবেচনায় মনে হচ্ছে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির কারণে বিকল্প হিসেবে এই ধরনের প্রযুক্তি আসতে চলেছে।