দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন এক আজব জঙ্গলের খোঁজ পাওয়া গেছে, যেখানে কোনো মানুষ গেলে আর ফিরে আসার কোনই সম্ভাবনা থাকে না!
এমন এক জঙ্গল ও প্রকৃতির কাছে যাওয়া কি সহজ? যে আপনাকে চিরকালের জন্য ইহলোক হতে দূরে নিয়ে যাবে? যে জঙ্গলে গেলে আর কখনও ফিরে আসা যায় না, এমন জঙ্গলে কখনও ঘুরতে গেলে কি ভয় করবে না? হয়তো আপনি ভাবতে পারেন এমন জঙ্গল হয় নাকি?
এই আজব বা ভয়ংকার জঙ্গলের সন্ধান পাওয়া গেছে জাপানের আহকিগোহরা নামক স্থানে। ঘন এই জঙ্গলের পথ ধরেই মাউন্ট ফুজির দিকে যাওয়া যায়। লাভা শিলায় সমৃদ্ধ এই জঙ্গল পৃথিবীর অন্যতম সুইসাইড স্পটগুলির একটি বলে ধরা হয়। ঘন জঙ্গলে ঘেরা এই অঞ্চলটিতে প্রতিবছর ১০০-র বেশি মানুষ নাকি আত্মহত্যা করেন! তবে কেনো এখানে মানুষ আসেন আর ফিরে যান না তা নিয়ে জল্পনারও যেনো শেষ নেই। গবেষণা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই।
বছরের বিভিন্ন সময় এই জঙ্গল হতে মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত ব্যক্তিরা সেখানে আত্মহত্যা করেছে, নাকি অন্য কোনো কারণে মৃত্যু ঘটেছে তাও বোঝা সম্ভব হয় না। কেবল নিথর দেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় স্থানীয় পুলিশ।
জানা যায়, এই আজব জঙ্গলে এমন ভয়াবহ আত্মহত্যা রুখতে বহু চেষ্টাও করা হয় জাপান প্রশাসনের পক্ষ হতে। জঙ্গলে প্রবেশ করতে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে নিষেধ করা হয়েছিল। তবে তারপরেও যেনো মৃত্যুর মিছিল জারি রয়ে গিয়েছে এই জঙ্গলে! প্রাণপিপাসু এই ভয়ংকর জঙ্গল এখনও শত শত মানুষের প্রাণ নিয়ে নিচ্ছে নির্দ্বিধায়।
বলা হয়েছে যে, এই জঙ্গলে যারা যায় তাদের ফিরে আসার আশা আর থাকে না বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই৷ কেবলমাত্র আত্মহননের জন্যই এই জঙ্গলে মৃত্যুর মিছিল চলে, তা নয়। অনেক সময় ট্রেকিং করতে এসেও বহু মানুষের প্রাণ চলে যায় এই জঙ্গলে। প্রচলিত রয়েছে যে, এই মৃত মানুষের আত্মারাই নাকি রয়ে যান এই জঙ্গলে! যা পরবর্তীতে পর্যটকদের জীবনের দায় হতে মুক্ত হতে বাধ্য করে!
সে কারণে মানুষের ধারণা এই জঙ্গলে মানুষ অকারণে আত্মহত্যা করে। তবে এই কথা মেনে নিতে নারাজ সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাদের দাবি হলো, ওই জঙ্গলে এমন কোনো অশুভ শক্তি রয়েছে যা এক এক করে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে অকাতরে!