দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) হাজার হাজার সিরীয় শরণার্থী শিশুকে স্কুলে ভর্তি হওয়ার পথ সুগম করতে জর্ডানের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
সিরিয়াতে সেপ্টেম্বরে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে। এইচআরডব্লিউ বেলেছে, স্কুলে পড়ার মতো ৮০ হাজারেরও বেশি সিরীয় শিশু জর্ডানে অবস্থান করছে। তারা গত বছর কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পায়নি।
‘আমরা এদের ভবিষষৎ নিয়ে ভীত’ শীর্ষক ৯৭ পৃষ্টার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সিরীয় শিশুদের স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংস্থার প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, স্বীকৃত শরণার্থী শিবিরের বাইরে সিরিয়ার যে সমস্ত মানুষ বসবাস করে তাদেরকে ‘সার্ভিস কার্ড’ দেওয়া হয়না। এই কার্ডের অভাবে অনেকেই সরকারি স্কুলগুলোতেও ভর্তি হতে পারছে না।
এইচআরডব্লিউ জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাব কিংবা মাপকাঠি পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে সিরিয়ার হাজার হাজার নাগরিক সার্ভিস কার্ড হতে বঞ্চিত। এছাড়া জর্ডানের আইনে তিন কিংবা এর বেশিদিনের স্টাডিগ্যাপ থাকলে স্কুলে ভর্তি হওয়া যায় না। সে কারণেও অনেকেই স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না।
এই মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, সিরীয় শিশুদের স্কুল ছাড়ার বড় কারণ হলো দারিদ্র্য। কিছু পরিবার কোনরকমে পরিবহণ খরচ মেটাতে পারে। আবার অনেক শিশুকে অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করতে জোরাজুরি করা হয়ে থাকে। জর্ডান জানিয়েছে, তাদের দেশে অন্তত ১৪ লাখের মতো শরণার্থী রয়েছে। এরমধ্যে ৬ লাখ ৩০ হাজার জাতিসংঘ নিবন্ধিত।
অবশ্য এইচআরডব্লিউ সিরীয় শিশুদের সরকারি স্কুলে পড়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য জর্ডানের প্রশংসা করেছে। জর্ডান শরণার্থী শিবিরগুলোতে স্কুল খুলেছে। তারা সিরীয় শিশুদের স্কুলে টানতে ‘ডাবল শিফট’ পর্যন্ত চালু করেছে।
জাতিসংঘে শরণার্থী সংস্থায় নিবন্ধিত ২ লাখ ২৬ হাজার স্কুল পড়ুয়া সিরীয় শিশু জর্ডানে অবস্থান করছে। এদের এক তৃতীয়াংশের বেশি শিশু গত বছর কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পায়নি বলে জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ।