দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজই ফাঁসি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলে আজ (শনিবার) দুপুরে কারা সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে।
পুলিশের পাশাপাশি কারাগারের ফটকে সারি বেঁধে অবস্থান করছেন বিপুল সংখ্যক র্যাব সদস্য। বিকাল ৪টার দিকে কারাগারে ঢুকেছে ফায়ার সার্ভিসের একটা গাড়ি। পুলিশের একটি জলকামান আগের রাতেই কারাগারের ভেতরে নিয়ে রাখা হয়।
অপরদিকে কারাগারের আরপি চেকপোস্ট সংলগ্ন সব দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। উৎসুক জনতা ভিড় করছে কারা ফটকে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিপুল সংখ্যক সংবাদকর্মীও সেখানে উপস্থিত রয়েছেন।
জামায়াতের মজলিসে শুরা সদস্য মীর কাসেম আলীর সঙ্গে শেষবার দেখা করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষের ডাক পেয়ে বিকাল সাড়ে ৩টায় ৬টি মাইক্রোবাসে করে কাসিমপুরে পৌঁছান তার পরিবারের সদস্যসহ ৪৫ জন আত্মীয়।
এদের মধ্যে মীর কাসেমের স্ত্রী, মেয়ে, পুত্রবধূসহ ৩৮ জনকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় বলে জানা যায়। ফাঁসি কার্যকরের সময়-ক্ষণ এখনও জানানো হয়নি।
দুপুর ১.৪০ মিনিটে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল করিম কাশিমপুর কারাগারে প্রবেশ করেন।
কারা বিধি অনুযায়ী ফাঁসি কার্যকরের পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সিভিল সার্জনকে অবহিত করণে চিঠি পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ। একই চিঠি পাঠানো হয়েছে মীর কাসেমের গ্রামের বাড়িতেও।
কারা সূত্র বলেছে, লাল খামে ভরে আজ (শনিবার) সকাল ১১টায় বিশেষ কারা বার্তা বাহকের মাধ্যমে চিঠিগুলো পাঠানো হয়।
কারাগার সূত্র আরও বলেছে, শুক্রবার কারাগারে মীর কাসেম আলীর ফাঁসির ট্রায়াল হয়। এতে জল্লাদ শাহজাহান এবং রাজু অংশ নেন। সামিয়ানা টানানো হয়েছে ফাঁসির মঞ্চের ঠিক উপরে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার আপিল বিভাগে রিভিউর আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর রায়ের কপি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। একইদিন তার মুত্যৃপরোয়ানা জারি করা হয়। লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার হয়ে রাত পৌনে একটায় কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছায়।
শুক্রবার বিকালে মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করবেন না জানালে ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি শুরু করে কারাকর্তৃপক্ষ।