দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেখা গেলো বিমানের এক যাত্রীর ওজন ৬ হাজার কিলোগ্রাম, আর বয়স ৬৬ মিলিয়ন বছর, লম্বায় ১৩ মিটার! কীভাবে সম্ভব? সম্ভব, কারণ সেটি ছিলো এক ডাইনোসরের পাসপোর্ট!
এমন কথা শোনার পর অনেকেই ভাবছেন, বিমানে আবার এমন দানবীয় যাত্রীও থাকতে পারে? তবে ডাইনোসরের নাম শুনে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। এই ডাইনোসরের নাম টিরানোসরাস রেক্স। যাকে সংক্ষেপে বলা হয় টি-রেক্স।
আমরা জানি একসময় পৃথিবীর বুকে দাপিয়ে বেড়াতো এইসব ডায়নাসোর। সেই টি-রেক্সের কঙ্কালের নামেই সম্প্রতি ইস্যু করা হয়েছে একটি পাসপোর্ট! তবে এটি করা হয়েছে মজা করে নয়, রীতিমতো বিমানে চেপে সেই পাসপোর্টের জোরেই আমেরিকা হতে নেদারল্যান্ডস যাত্রা করেছে টি-রেক্সের কঙ্কালটি!
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, ২০১৩ সালে আমেরিকার মন্টানায় এই টি-রেক্স কঙ্কালটির খোঁজ মেলে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে ডাইনোসরের যতো কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে, তারমধ্যে এটিই সবচেয়ে ভালো অবস্থায় পাওয়া। কারণ, এই মেয়ে ডাইনোসরটির আশি শতাংশ হাড়ই একেবারে ঠিকঠাক অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ওই কঙ্কালটিকেই নেদারল্যান্ডসের লেইডেন শহরের একটি সংগ্রহশালায় প্রদর্শিত করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আর তাই ডাইনোসরের কঙ্কালটিকে বিমানে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারি নিয়ম মেনে টি-রেক্সের কঙ্কালের জন্য নেদারল্যান্ডস সরকারের পক্ষ হতে পাসপোর্ট তৈরি করা হয়! তারপর ২৫০ জন বিমানযাত্রীর সঙ্গে বাক্সবন্দি অবস্থায় বিমানযাত্রা হলো টি-রেক্সের।
তবে কঙ্কালের ছবি কেনো দেওয়া হলো না? যুক্তি হলো, না হয় কঙ্কালই যাচ্ছে, তাই বলে শুধু খুলির ছবি তো পাসপোর্টে দেওয়া যায় না, সেটি মানানসই নয়। সেই জন্য সত্যিকারের টি-রেক্স-এর একটি জ্যান্ত মুখই পাসপোর্টের উপরে বসানো হয়েছে! তবে পাসপোর্ট হলে তো আবার স্বাক্ষর থাকতে হয়! আর তাই পাসপোর্টের মালিকের স্বাক্ষরের জায়গায়টিতে টি-রেক্সের নখের ছবি দেওয়া রয়েছে!
এবেলা সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, গত ২৩ আগস্ট এই পাসপোর্টটি ইস্যু করা হয়েছে। এই পাসপোর্টটি আগামী ১০ বছর বৈধ থাকবে। কারণ হলো, যদি আবারও বিদেশ ভ্রমণের প্রয়োজন পড়ে!