দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন একটি খবরে সকলেই হতবাক। খবরটি হলো, সাপের বিষে ক্ষয় হবে মানব দেহের বিষও! এই খবর দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, দেহে সবচেয়ে লম্বা বিষের গ্রন্থি রয়েছে। এমন একটি সাপের বিষেই লুকানো রয়েছে মানব দেহের ব্যথা উপশমের সমাধান!
এটির ইংরেজি নাম লঙ গ্যানডেড কোরাল স্নেক। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই সাপকে ডাকা হয় ‘কিলার অফ কিলার্স’ নামে। কারণ শঙ্খখচূড়ের মতো বড় ও বিষধর সাপ এদের খাবার।
গড়ে সাড়ে ৬ ফুট লম্বা এই কোরাল সাপের বিষ এতোই তীব্র যে দেহে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে সেটি কার্যকর হয় এবং তখন দেহে খিঁচুনি শুরু হয়।
বিষাক্ত দ্রব্যের ম্যাগাজিন টক্সিনে প্রকাশিত নতুন এক গবেষণাপত্রে বলা হয়, এই সাপের বিষ মানব দেহের স্নায়ুর রিসেপ্টরকেই আঘাত করে। যে কারণে এই বিষ ব্যবহার করে ব্যথা উপশম সম্ভব হবে বলে গবেষকরা মনে করছেন।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ব্রায়ান ফ্রাই বলছেন যে, ‘’বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাপের বিষ কাজ করে ধীরে। অর্থাৎ আপনার শরীর অবশ হয়ে পড়বে, আপনার ঘুম ঘুম লাগবে এবং এক সময় আপনি মারাও যাবেন।”
”তবে এই সাপের বিষ কাজ করে খুব দ্রুত। কারণ হলো এই সাপ তার মতোই অন্য বিষধর সাপ খেয়ে ফেলে। সুতরাং বিষ কাজ করতে দেরি হলে তার বিপদ ঘটবে।” এই সাপের বিষ ছাড়াও বিজ্ঞানীরা কাঁকড়াবিছার বিষ নিয়েও গবেষণা করেছেন।
খবরে বলা হয়েছে, এই সাপ সচরাচর দেখা যায় না। গাছপালা কেটে ফেলার কারণে এর ৮০% আবাসস্থলই ধ্বংস হয়ে গেছে। এই গবেষণা প্রকল্পে ড. ফ্রাইএর সঙ্গে কাজ করছেন চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরের একদল বিজ্ঞানীরা।