দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার সত্যিই এক ঐতিহাসিক প্রস্তাব পাশ করলো জাতিসংঘ। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি বসতিস্থাপন বন্ধের দাবি জানিয়ে প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এই প্রস্তাবে বসতি স্থাপনকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে।
অতীতে সব সময় এমন প্রস্তাবে ভেটো দিলেও এবারকার প্রস্তাবে ভেটো দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। মিশরের প্রস্তাবিত এই রেজ্যুলেশনের ওপর গত বৃহস্পতিবার ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিলো। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিহুয়ার চাপের মুখে শেষ মুহূর্তে প্রস্তাব মিশর প্রত্যাহার করে নেয়।
এটির সহ-প্রস্তাবক নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভেনিজুয়েলা ও সেনেগাল প্রস্তাব উত্থাপনে অনড় থাকলে শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে এর ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়।
এই প্রস্তাববনার পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪ সদস্যই ভোট দিয়েছে। অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভোটদান হতে বিরত ছিল। এর পূর্বে ২০১১ সালে এই ধরনের একটি প্রস্তাবনায় ভেটো দিয়ে বাতিল করে দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
গত ৮ বছরে এই প্রথমবারের মতো ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করলো।
ইতিপূর্বে এই প্রস্তাব ঠেকাতে ভেটো প্রয়োগের জন্য ওবামা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু। ট্রাম্প মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিকে ফোন করলে শেষ মুহূর্তে এই প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয় মিশর।
তবে শেষ পর্যন্ত সব আশংকা উড়িয়ে দিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া এই প্রস্তাবটি ১৯৬৭ সাল হতে পূর্ব জেরুজালেমসহ দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বসতিস্থাপন বন্ধে ইসরাইলের প্রতি দাবি জানানো হলো।
এই প্রস্তাবে বলা হয়, ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’ উদ্যোগ টিকিয়ে রাখতে দখলকৃত ভূখণ্ডে বসতি স্থাপন বন্ধ অত্যবশ্যক। এই বসতি স্থাপনের কোনো আইনি ভিত্তি নেই ও এটি আন্তর্জাতিক আইনের ঘোরতর লংঘন।
উল্লেখ্য, এই প্রস্তাব পাসের নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরাইলি এক কূটনীতিক।