দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের পাওয়ারফুল নেতা বলতে যা বোঝায় তাই হলো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁকে অনেকেই বলেন, দূর্ধর্ষ নেতা। কিন্তু কেনো?
বিশ্ব রাজনীতিতে যতোই টানাপোড়েন থাকুক না কেনো, আমেরিকার মতো দেশকেও আতঙ্কের মধ্যে রেখেছে পুতিনের নেতৃত্বাধীন মস্কো। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সত্যিকার অর্থেই এক রহস্যময় চরিত্র বলা যায়। অনেকের কাছেই তিনি ‘বস অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে পরিচিত। তার সম্পর্কে এমন কয়েকটি তথ্য জেনে নিন:
কেজিবির ১৬ বছরের প্রশিক্ষণ
রুশ গোয়েন্দা বিভাগে ১৬ বছর কর্মরত ছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন।
শিকারি পুতিন
শিকার করা হলো পুতিনের অন্যতম এক নেশা। এই বিষয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তোলা পুতিনের একটি ছবি বিশেষ জনপ্রিয়। ওই ছবিতে পুতিনকে একটি স্নাইপার গান হাতে, খালি গায়ে শিকার করতে দেখা গেছে। পুতিনের অনুগামীরা বলে থাকেন, আমেরিকা হোক কিংবা হরিণই হোক শিকারে দক্ষ পুতিন!
তিমি শিকার
গভীর সমুদ্রে তিমি শিকার করার শখ রয়েছে পুতিনের। তবে শিকার করা তিমিটি মেরে না ফেলে ফের সমুদ্রে ভাসিয়ে দেন পুতিন।
বাইক ও পুতিন
পুতিনের বাইকের নামের তর্জমা (অর্থ) করলে দাঁড়ায় ‘ধ্বংসের প্রতীক!’
সাঁতারু পুতিন
সাঁতার কাটা ভ্লাদিমির পুতিনের আরেক নেশা। ছুটি কাটাতে গেলে বরফ হয়ে যাওয়া সাইবেরিয়ান হ্রদেও সাঁতার কাটেন রুশ প্রেসিডেন্ট!
ঘোড়া শাওয়ার পুতিন
ঘোড় শাওয়ার হওয়া ভ্লাদিমির পুতিনের আরেক নেশা। ছুটি কাটাতে গেলে বা সময় পেলেই ঘোড়ার পিঠে চড়ে বসেন রুশ প্রেসিডেন্ট!
রাইফেল নির্বাচন
রুশ প্রশাসনিক কর্তারা বলেছেন, প্রতিরক্ষা বিভাগে কোন কোন অস্ত্র ব্যবহৃত হবে, সেটা নিজের হাতে বেছে দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। প্রাক্তন কেজিবি চরের নিখুঁত নির্বাচন পদ্ধতির উপর বিশ্বাস রেখে কখনও ঠকেননি- এমনটি জানিয়েছেন রুশ সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
বাঘ-বন্দী
ভ্লাদিমির পুতিন নাকি খালি হাতেও বাঘের সঙ্গে লড়াই করতে পারেন। কথাটা একেবারে মিথ্যে নয়। বাঘ বশের অসংখ্য ছবিই তার প্রমাণ বহন করে।
ব্ল্যাক বেল্ট
সিক্সথ ডিগ্রি জুডো ব্ল্যাক বেল্ট রয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের। অর্থাৎ তিনি একজন কারাতিও।