দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এভারেস্ট চূড়া থেকে ফেরার পথে মৃত্যুবরণ করা এভারেস্ট জয়ী খালেদের মরদেহ নামিয়ে আনতে আজ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে রওনা দিচ্ছেন ১০ জন শেরপা।
নেপালের বেসরকারি সংস্থা সেভেন সামিট, নেপাল পর্যটন মন্ত্রণালয় ও কাঠমান্ডুস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মধ্যে গতকাল কাঠমান্ডুতে এ ব্যাপারে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। মরদেহ নামিয়ে আনতে তিন থেকে পাঁচ দিন সময় লাগতে পারে। সে মোতাবেক আগামী ৩১ মে মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নেপালে বাংলাদেশের দূতাবাসের প্রথম সেক্রেটারি খান মো. ময়নুল হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, নেপালের স্থানীয় সময় আজ সকাল ১০টার মধ্যে খালেদের মৃতদেহ এভারেস্ট থেকে নামিয়ে আনার কাজ শুরু হবে। তারা হিমালয়ের প্রায় ২৮ হাজার ৭৫০ ফুট উচ্চতার সাউথ সামিট থেকে নামিয়ে আনবেন মরদেহ। প্রতি আধা ঘণ্টা পর পর উদ্ধার তৎপরতার সর্বশেষ অবস্থা ও ভিডিও চিত্র স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে জানাবে উদ্ধারকারীরা। দূতাবাস পুরো প্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করবে।
অপরদিকে খালেদের মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ইতোমধ্যেই কাঠমান্ডু গেছেন সজলের বন্ধু ও বাংলা মাউন্টিনিয়ারিং ও ট্রাকিং ক্লাবের সদস্য রিয়াজ রহমান ও বাবু্।
উল্লেখ্য, ৫ম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করে ফিরে আসার সময় ২০ মে মারা যান মোহাম্মদ খালেদ হোসেন। খালেদের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগান দিচ্ছে সরকার। এতে ৪০ লাখ টাকার বেশি খরচ হবে। খবর বিভিন্ন টিভি চ্যানেল সূত্রের।