দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের কোলকাতা হাইকোর্টের সেই বিচারপতি সি এস কারনানকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
সি এস কারনানকে ওই সাজা ঘোষণা করেছে ৭ সদস্যের একটি বেঞ্চ। একইসঙ্গে দেশটির পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ মহানির্দেশককে আদেশ দেওয়া হয়েছে কারনানকে গ্রেফতার করার জন্য।
৯ মের এই সাজা ঘোষণার আগের দিন ৮ মে কারনান এক অভূতপূর্ব সাজা ঘোষণা করেন। যেখানে তিনি ভারতের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরসহ সুপ্রিম কোর্টের ৮ জন বিচারকের ৫ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করেন, সেইসঙ্গে এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেন।
২৩ জানুয়ারি হতে বিচারপতিদের এই সংকট শুরু হয়। কোলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কারনান সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে একটি চিঠি দেন। সেই চিঠিতে তিনি সুপ্রিম কোর্ট এবং মাদ্রাজ হাইকোর্টের কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। সেই বিচারপতিদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার জন্যও বিচারপতি কারনান প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। এই চিঠিকে বিচারবিভাগের অবমাননা হিসেবে ধরা হবে না কেনো, সেইমর্মে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়ে সে প্রশ্নের জবাব দিতে বিচারপতি কারনানকে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়। বিচারপতি কারনান সেদিন হাজিরা দেননি।
গত ১ মে বিচারপতি কারনানের মানসিক স্বাস্থ্যপরীক্ষার নির্দেশ দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই শুরু হয়ে যায়। পরে গত সপ্তাহে বিচারপতি কারনানের মানসিক সুস্থতা পরীক্ষার জন্য তার বাড়িতে পুলিশ এবং বিশেষ চিকিৎসক দল গেলে তিনি তাদের ফিরিয়ে দেন।
দুই দফা তারিখ দেওয়ার পরও তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় গত শুক্রবার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ৭ সদস্যের ওই বেঞ্চ।
কোলকাতার পুলিশ যখন তাকে গ্রেফতার করতে যায়, তখন তিনি সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে ‘অন্যায়’ ও ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তা স্থগিত করে দেন এবং তৎক্ষণাৎ নিজের বাড়িতেই এক বিশেষ আদালত বসিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে শাস্তির আদেশ দেন! অথচ তার কাছ থেকে সব বিচারিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা পূর্বেই নিয়ে নিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত, যে কারণে তার জারি করা নির্দেশের কোনো আইনি ভিত্তি নেই।