দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে সবই সম্ভব। বিশেষ করে সরকারি কাজে গাফিলতির অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। এবার এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। এক ব্যক্তির আবেদন করার ৯ বছর পর এসেছে ইন্টারভিউ কার্ড!
৯ বছর আগে তিনি চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। দীর্ঘ ৯ বছর পর মিলেছে ইন্টারভিউ কার্ড! কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ছায়কোট গ্রামের টুটুল কুমার ঘোষের নামে মুন্সিগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয় হতে ইস্যু করা হয়েছে এই কার্ড। তবে যার নামে কাঙ্খিত ওই ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু করা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে প্রবেশে তার বয়সের সীমা অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে।
জানা গেছে, ২০০৮ সালে টুটুল কুমার ঘোষ একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি দেখে মুন্সিগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের বেঞ্চ সহকারী পদে আবেদন করেছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি ওই পদে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ কার্ডের অপেক্ষাতেও থাকেন। ইতিমধ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশে তার বয়সের সময়সীমা শেষ হওয়ায় ওই চাকরির কথা রীতিমত ভুলেই গেছেন তিনি।
রেজিস্ট্রি ডাকযোগে লিখিত পরীক্ষার জন্য তার নিকট সোমবার একটি কার্ড পৌঁছালে তিনি বিস্মিত হন। পরে এই ইন্টারভিউ কার্ডের ফটোকপি তিনি সাংবাদিকদের নিকট সরবরাহ করেছেন। নিয়োগ সংক্রান্ত বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক স্বাক্ষরিত ওই লিখিত পরীক্ষার কার্ডে উল্লেখ করা হয়, ‘আগামী ২৬/০৫/২০১৭খ্রি. তারিখ শুক্রবার সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় মুন্সিগঞ্জ সরকারি হরগঙ্গা কলেজে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’
লিখিত পরীক্ষার ওই কার্ডটি হাতে পেয়ে দুই সন্তানের জনক টুটুল কুমার ঘোষ আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছেন, এটা একটা তামাশা ছাড়া কিছু নয়। ব্যাংক ড্রাফট ও অন্যান্য কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর অর্থ ব্যয় করে বেকারত্ব ঘুচাতে আবেদন করেছিলাম ৯ বছর আগে। আমার চাকরির বয়সঅনেক আগেই চলে গেছে। এখন এই ইন্টারভিউ কার্ড দিয়ে আমি কী করবো?
আমি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ভাল করলেও বয়সের কারণে এখন আমাকে চাকরি দেওয়ার মতো অবস্থা কী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের রয়েছে? এটা কর্তৃপক্ষের রসিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়।’