দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই জানি আত্মহত্যার খুব সহজ মাধ্যম হলো ঘরের সিলিং ফ্যান। তবে সেই সিলিং ফ্যানে আত্মহত্যার দিন বোধহয় শেষ হয়ে যাচ্ছে। এমনই এক প্রযুক্তি আবিষ্কার হতে চলেছে।
বিগত সময়গুলোতে আমরা দেখেছি বহু যুবক-যুবতী আত্মহত্যা করেছে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে। সুইসাইড বা আত্মহত্যার মতো নির্মম পন্থা যারা বেছে নিচ্ছেন তাদের অধিকাংশই হলো অল্পবয়সী ছেলে-মেয়ে। পড়াশোনা, চাকরি, পরিবারের চাপ কিংবা প্রেম ঘটিত কারণে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটে থাকে।
আর বেশিরভাগ ছেলেমেয়েই আত্মহত্যা করার ক্ষেত্রে যে সহজ উপায় হিসেবে বেছে নিয়ে থাকে তা হলো সিলিং ফ্যানে ঝুলে পড়া। এতে করে হয়তো রক্তপাত ও জখম হয়না তবে নিমিষেই শেষ হয়ে যায় একটি তাজা প্রাণ!
তবে এবার একজন মানুষের কাছে এই নির্মমতার হাত হতে বাঁচার একটি উপায় পাওয়া গেছে। তিনি সিলিং ফ্যানে আত্মহত্যা প্রতিরোধে একটি সহজ উপায় বাতলে দিয়েছেন।
শরদ আশানি নামে ভারতের এক ব্যক্তি ক্রম্পটন গ্রিভসের একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি একটি মজার কাজ করেছেন, আর সেটি হলো তিনি বিভিন্ন সিলিং ফ্যানের প্যাটেন্ট কেনা শুরু করছেন এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলে দিলেন যেনো ফ্যানগুলো আত্মহত্যার কাজে ব্যবহার করা না হয়। ধীরে ধীরে তার এমন ফ্যানের সংখ্যা পাঁচশ ছাড়িয়ে গেলো। এবার তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যেনো ফ্যানগুলো কোটার বিভিন্ন হোস্টেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাই করা হলো।
এই ফ্যানগুলোর বিশেষত্ব কী? এই ফ্যানে যে রড থাকে সেই রডের ভেতর একটি স্প্রিং রয়েছে এবং যখনই ফ্যানে মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়বে তখন মেকানিজম কাজ করা শুরু করে দেবে। এতে আত্মহত্যার চেষ্টাকারি নিরাপদে মাটিতে পড়ে যাবেন এবং কোনরুপ হতাহতের শিকার হবেন না।
একটি দৈনিকের মতে, আশানি সর্বপ্রথম এমন আইডিয়া পান ২০০৪ সালে যখন মডেল নাফিসা জোসেফ আত্মহত্যা করেন। তিনি গবেষণা করে দেখেছেন যে, ১.৩ লাখ লোকের মধ্যে প্রায় ৬০,০০০ জনই আত্মহত্যা করেছেন ফ্যানে ঝুলে এবং সেই পরিসংখ্যানই আশানিকে ‘আত্মহত্যা-বিরোধী ফ্যান’ তৈরিতে আরও উৎসাহীত করেছে।
শরদ আশানি আশা করেন একদিন সারা পৃথিবীতেই এমন ফ্যানের ব্যবস্থা চালু হবে এবং আত্মহননের পরিমাণ কমে আসবে। এই ফ্যানের দাম ধরা হয়েছে ভারতীয় রুপিতে মাত্র ২৫০ রুপি।
এই ফ্যানের কিছু বৈশিষ্ট্য জেনে নিন ভিডিও দেখে: