দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা জরুরী। যথেষ্ট দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও আমরা অনেকে শুধু আত্মবিশ্বাসের অভাবের কারণে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি না।
আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিরা আমার আপনার চেয়ে খুব ভিন্ন কিছু নয়। প্রতিনিয়ত সাধারণ কিছু বিষয় অনুসরণ করলে আপনিও নিজের মাঝে আত্মবিশ্বাস নিয়ে আসতে পারবেন। জেনে নেওয়া যাক কোন বিষয়গুলি আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করতে পারে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন: নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করার জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা একান্ত প্রয়োজনীয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে যে কোনো কাজে উদ্যম পাওয়া যায় এবং আপনার সম্পর্কে আশেপাশের ব্যক্তিদের মনে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়।
নিজের “আদর্শ চিত্র” কল্পনা করুন: আপনি নিজেকে ঠিক যেমনভাবে দেখতে চান তার ভিত্তিতে মনে মনে নিজের একটি আদর্শ চিত্র তৈরি করুন। প্রতিদিন সেই চিত্রের সাথে নিজেকে মিলিয়ে দেখুন।
ইতিবাচক চিন্তা করুন: সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করার চেষ্টা করুন। কঠিন পরিস্থিতেও হতাশ না হয়ে যতোটা সম্ভব আশাবাদী হওয়া জরুরী। জীবনে খারাপ ভালো দুই ধরনের সময়ই আসতে পারে। বিষয়টি স্মরণে রেখে প্রস্তুত থাকুন।
নিজেকে জানুন: নিজের সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী। নিজের সক্ষমতা ও দুর্বলতা সম্পর্কে জানতে আত্মবিশ্লেষণ করুন। এমন কোনো বিষয় প্রত্যাশা করবেন না যা আপনার সামর্থ্যের বাইরে।
ধীরে ধীরে কথা বলুন: দ্রুত কথা বললে ভুল ও অপ্রয়োজনীয় কথা বলার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই স্থান, কাল, পাত্র বুঝে গুছিয়ে ধীরে ধীরে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ছোট ছোট বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন: আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু বদঅভ্যাস থাকে। এগুলি আমাদের ব্যক্তিত্বের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আপনার বদঅভ্যাসগুলি চিহ্নিত করে সেগুলি দ্রুত ত্যাগ করুন।
হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন: “লাফটার ইজ দ্যা বেস্ট মেডিসিন” হাসির চেয়ে বড়ো ঔষধ আর নেই। হাসিখুশি থাকলে আপনার মানসিক চাপ অনেক কমে আসবে, এবং অন্যদের মনে আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে না।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন: কেউ আপনার কোনো উপকার করলে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে সঙ্কোচ বোধ করবেন না। এতে আপনার আত্মতৃপ্তি বাড়বে এবং উপকারী ব্যক্তিও সম্মানিত বোধ করবে।
পড়াশোনার অভ্যাস করুন: আপনার পেশা যাই হোক না কেনো, নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পড়াশোনা একান্ত প্রয়োজন। তবে পড়াশোনা কেবল পেশাগত বিষয়েই সীমাবদ্ধ রাখবেন না। নিয়মিত সংবাদপত্র ও অন্যান্য বই পড়লে জ্ঞানের পরিধি বাড়ে। ফলে যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়।
সামাজিক কাজে যুক্ত হোন: শুধু পেশাগত ও পারিবারিক কাজের মধ্যে নিয়োজিত না থেকে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত হোন। এতে বিভিন্ন বিষয়ে আপনার দক্ষতার পাশাপাশি সমাজে পরিচিতিও বাড়বে।