দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেলফি তুলতে গিয়ে ভয়াবহ পরিণতি ঘটলো এক যুবকের। প্রেমিকার ও তার পরিবারের লোকদের সামনে ‘হিরো’ হওয়ার চেষ্টা করে যে এমন মাশুল দিতে হবে তা তার জানা ছিল না।
মাত্র ২৪ বছর বয়সি যুবকটির জীবনে তাইতো ঘটে গেলো এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। অকারণ ঝুঁকি নিতে গিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে চিরতরে বিচ্ছেদ হয়ে গেলো তার।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের লখনউয়ের চারবাগ স্টেশনে। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার নিজের প্রেমিকা ও তার পরিবারের সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের বৈষ্ণোদেবী মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন ওই যুবক। সন্দীপ মৌর্য্য নামে ওই যুবক লখনউয়ের মান্ডির নামক এলাকার বাসিন্দা। এইসময় তারা বেগমপুরা এক্সপ্রেসের জন্য চারবাগ স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎই স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির ছাদে উঠে পড়েন ওই যুবক সন্দীপ। উদ্দেশ্য হলো প্রেমিকাকে ‘ইমপ্রেস’ করা। মালগাড়ির ছাদে উঠেই ক্ষান্ত হননি, নিজের মোবাইলে একের পর এক সেলফিও তুলতে থাকেন। সেলফি তুলতে তুলতে প্রেমিকা ও তার পরিবারের সদস্যদের হাত নাড়তে থাকেন ওই যুবক। তখনই সন্দীপের একটি হাত আচমকা উপরের হাই-ভোল্টেজ বিদ্যুতের তারে লেগে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তড়িদাহত হন সন্দীপ। বিশ্রীভাবে পুড়ে যায় তার হাত।
খবর পেয়ে ওই লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। আরপিএফ কর্মীরা এসে আহত সন্দীপকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসকরা ওই প্রেমিককে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনার খবর পেয়ে সন্দীপের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এসে পৌঁছান। কান্নায় ভেঙে পড়েন তার পরিবারের সদস্যরা।
তার প্রেমিকার মায়েরা দাবি করেছেন, মালগাড়ির ছাদে না ওঠার জন্য সন্দীপকে অনেকবার নিষেধ করেছিলেন তারা। তবে ওই যুবক শোনেনি।