দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লন্ডনের তিন প্রবাসী বাংলাদেশী এ বছর পবিত্র হজ পালন করতে বাইসাইকেল চালিয়ে সৌদি আরবের মদিনায় যাচ্ছেন। ৬ সপ্তাহের এই হজ্বযাত্রা শুরু হবে লন্ডন শহর হতে।
মূলত সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য অর্থ সংগ্রহ করার উদ্যেশেই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই যাত্রায় একদল সাইকেল আরোহী অংশ নিচ্ছে যারমধ্যে রয়েছেন তিন বাংলাদেশী।
সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হজ্ব পালনের পাশাপাশি সিরিয়ার মানুষের চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ পাউন্ড সংগ্রহ করার উদ্দেশ্য ৮ যুবক এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এঁরা সকলেই ‘হিউম্যান এইড’ নামে একটি দাতা সংস্থার সদস্য।
৮ জনের মধ্যে ৩ জন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এবং ৪ জন পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশও রয়েছেন। এছাড়াও একজন যুক্তরাজ্যের বাসিন্দাও আছেন।
তাঁরা পরিকল্পনা করেছেন যে, তারা লন্ডন হতে সাইকেল চালিয়ে যাবেন যুক্তরাজ্যের নিউ হ্যাভেন শহরে। সেখান থেকে ফেরিযোগে রওনা দেওয়া হবেন ফ্রান্সের দিকে। এরপর আবার সাইকেলযোগে যাত্রা শুরু করবেন তাঁরা। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস হতে সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, লিচটেনস্টাইন হয়ে তাঁরা সাইকেল চালিয়ে পৌঁছাবেন ইতালিতে।
তাঁরা ইটালির ভেনিসে পৌঁছে আবার ধরবেন ফেরি। ফেরিতে করে গ্রিস পৌঁছে কিছু পথ সাইকেলযাত্রার পর সাগর পাড়ি দিয়ে তাঁদের যাত্রা শুরু হবে বিমানযাত্রা। ৮ হজযাত্রীর যাত্রা শেষ হবে সৌদি আরবে ইয়ানবু হতে মদিনা শহরে পৌঁছানোর পর।
ইতিপূর্বে ‘হিউম্যান এইড’ নামে এই সংস্থাটি সিরিয়ার মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছে। চলতি বছর যুক্তরাজ্য এবং মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মিলিত হয়ে তাঁরা সিরিয়ায় ৮০ হতে ৮৫টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছে। এবারের সংগৃহীত অর্থের মাধ্যমে ওই অ্যাম্বুলেন্সগুলোর মেরামত এবং সেগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা হবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাইকেলযোগে হজ্বযাত্রার এই উদ্যোগের পরিকল্পনা করেন আবদুল ওয়াহিদ নামে জনৈক ব্যক্তি। ১১ বছর পূর্বে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
ওয়াহিদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি সাইকেলযাত্রা পছন্দ করি। আমি হজেও যেতে চাই। তাই আমরা কি সেই পুরোনো দিনের মতো যাত্রা করতে পারি না?’
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বেও ২০১৫ সালে আবদুল ওয়াহিদ সাইকেল চালিয়ে লন্ডন হতে সৌদি আরবে যান। এরপর তিনি বুঝতে পারেন হজ করার জন্যও এভাবে সৌদি আরবে পৌঁছানো সম্ভব। আর তাই তিনি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।