দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে বর্ষা চলছে। এই বন্যার সময় সাপের উপদ্রপ বেশি হয়। বিশেষ করে গ্রামে-গঞ্জে মাঝে মধ্যেই যে কাওকে সাপে কামড়াতে দেখা যায়। তবে সাপে কামড়ালে তাৎক্ষণিকভাবে কি করতে হবে তা আমাদের জানা নেই। আজ জেনে নিন।
দেশজুড়ে চলছে বন্যা। আর এই সময় সাপে কাটা রোগীর সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। সাপে কাটার খবরও পাওয়া গেছে। এই সময় তাই সাপে কাটা নিয়ে কিছু বিশেষ সতর্কতা গ্রহণ জরুরি।
এই বর্ষাকালে ঝোপঝাড় কিংবা জঙ্গলে সাবধানে হাঁটতে হবে। এই সময় কোনো অবস্থাতেই গর্তে হাত দেওয়া যাবে না। রাতের বেলায় পথ চলতে আলো (টর্চলাইট) , লাঠি সঙ্গে রাখুন।
তবে এতো সতর্কতার পরে যদি সাপে কামড় দেয় তাহলে ভয় পাবেন না। কারণ বেশির ভাগ সাপই বিষধর নয়। তবে সাপে কাটার পর কিছু বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।
পায়ে বা হাতে যদি সাপে কাটে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বসে পড়ে কাটার জায়গার ঠিক কিছুটা ওপরে গামছা কিংবা ওড়না দিয়ে গিট দিতে হবে। দড়ি বা সুতা দিয়ে শক্ত গিট দেবেন না। কারণ তাতে আরও বেশি ক্ষতি হবে। বাধা জায়গাটি কেটে যেতে পারে।
সাপের কামড়ের স্থানটি পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে মুছে ব্যান্ডেজে ঢেকে রাখতে হবে, যাতে ধুলোবালি না লাগে। আক্রান্ত স্থানে কোনো অবস্থাতেই কাটা বা সুচ ফোটানো যাবে না। কাপড়ের ওপর কোনো কিছুর প্রলেপও দেওয়া যাবে না। তবে কামড়ানো স্থানটি ডেটল পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে পারেন।
যদি সাপের কামড়ের পর রোগীর কথা বলতে কোনো অসুবিধা হয়, বা যদি চোখের পাতা ভারী হয়, যদি মুখ হতে লালা ঝরে কিংবা রোগীর বমি হতে থাকলে বুঝতে হবে তাকে বিষধর সাপ কামড়িছে। যদি তাই হয় তাহলে দ্রুত রোগীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। সাপে কাটার ওষুধ হলো ‘এন্টি–স্নেক ভেনাম’ বিনা মূল্যে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা কিংবা উপজেলা হাসপাতালে পাওয়া যায়।
তবে বিষধর সাপের কামড়ের আধুনিক চিকিৎসাও রয়েছে। তাই ঝাড়ফুঁক, তাবিজ-কবজ বা কবিরাজি চিকিৎসার ওপর নির্ভর না করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে এই কাজগুলো করতে হবে। তাহলে সাপে কাটলেও সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারবেন আক্রান্ত ব্যক্তি। তাই সাপে কাটলে ঘাবড়ে না গিয়ে উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।