দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই এক ব্যতিক্রমি পণ বটে। এমন কথা আগে কখনও শোনা যায়নি। বিয়ের পণ হিসেবে শহর পেয়েছিলেন এমন এক শাসকের গল্প রয়েছে আজ!
এই শাসকের নাম তিমুর শাহ দুররানি। তিনি ১৭৪৮ সালে মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিমুর শাহ দুররানি ছিলেন মূলত দুররানি সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় শাসক। তিমুর শাহ দুররানি ছিলেন আহমদ শাহ দুররানির জ্যেষ্ঠ পুত্র।
তিমুর শাহ দুররানি ১৭৭২ সালের ১৬ অক্টোবর হতে ১৭৯৩ সাল মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সেখানের শাসক ছিলেন।
তিমুর শাহ দুররানি মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আলমগীরের কন্যাকে বিয়ে করেছিলেন। যে কারণে ক্ষমতায় তার দ্রুত উত্থান ঘটে। বিয়ের উপহার (পণ) হিসেবে তিনি সিরহিন্দ শহরটি পেয়েছিলেন। পরে তিনি পাঞ্জাব, কাশ্মির ও সিরহিন্দের গভর্নর হন।
তিমুর শাহ দুররানি তার অভিভাবক উজির এবং সেনাপতি জাহান খানের তত্ত্বাবধানে লাহোর হতে শাসন পরিচালনা করেন। ১৭৫৭ এর মে হতে ১৭৫৮ এর এপ্রিল পর্যন্ত এই অঞ্চলগুলো তার অধীনেই ছিল। তিনি গোহালওয়ারের যুদ্ধে শিখদের কাছে পরাজিত হন।
শিখরা জুলুন্দুর দোয়াবের গভর্নর আদিনা বেগ খানের সহায়তা পেয়েছিলেন। তাছাড়া মারাঠা পেশোয়া রঘুনাথ রাও তাদের সহায়তা করেছিলেন। যে কারণে তিমুর শাহ দুররানি ও জাহান খান পাঞ্জাব হতে বিতাড়িত হন।
তিমুর শাহ দুররানি তার রাজধানী কান্দাহার হতে কাবুলে স্থানান্তর করেছিলেন। পাশাপাশি ১৭৭৬ সালে পেশাওয়ারকে শীতকালীন রাজধানী বানানো হয়। ১৭৯৩ সালে মারা যান তিমুর শাহ দুররানি । তারপর তার পঞ্চম পুত্র জামান শাহ দুররানি শাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কাবুলেই তাকে দাফন করা হয়। সেখানে তারই সমাধি রয়েছে।