দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো ‘ব্লু-হোয়েল’। বিশ্বের গন্ডি পেরিয়ে আমাদের দেশেও এই ‘ব্লু-হোয়েল’ এর প্রেতাত্মা ভর করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এর এক চিত্র। যাতে দেখা যাচ্ছে ‘ব্লু-হোয়েল’ নিয়ে আগ্রহে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে রয়েছে!
প্রাণঘাতী অনলাইন গেম ‘ব্লু-হোয়েল’ বর্তমানে এক ভয়ঙ্কর গেমে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন আসছে নানা খবর। তাই এই ‘ব্লু-হোয়েল’ নিয়ে যেনো আগ্রহের শেষ নেই। এই গেমটি সম্পর্কে জানার আগ্রহ সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ এশিয়াতে।
গত রবিবার বিকেল পর্যন্ত গুগল ট্রেন্ডিং রিপোর্টে দেখা গেছে যে, ‘ব্লু-হোয়েল’ শব্দটি সার্চ টার্মে সবথেকে বেশি খোঁজা হয়েছে ভারতে। তারপরে অবস্থান করছে পাকিস্তান, আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তারপরে যথাক্রমে অবস্থান করছে শ্রীলঙ্কা এবং নেপাল।
এ বিষয়ে গুগলের গ্রাফ চিত্রে দেখা গেছে যে, এই শব্দটি সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে এবছরই ১৪ হতে ২০ মের মধ্যে। তারপর এর ‘খোঁজ’ কিছুটা কমেছিলো। এরপর আগস্ট মাসে আবার তা বেড়ে গেছে।
বলা হয়ে থাকে যে ‘ব্লু-হোয়েল’ স্যোশাল মিডিয়া সাইটগুলোতে খেলা হয় এমন একটি গেম। তবে ‘ব্লু-হোয়েল’ চ্যালেঞ্জ কোনো অ্যাপ নয়, আবার ডাউনলোড করা যায় এমন কোনো গেমও নয় এটি। এটি স্যোশাল মিডিয়াতে থাকা কোনো গ্রুপও নয়। এই গেমটি দুজন ব্যক্তির মধ্যে আলাপচারিতা মাত্র। যাদের একজন খেলোয়ার ও অপরজন এডমিন বা কিউরেটর। এই আলাপচারিতা হতে পারে অন্তর্জালের যেকোন স্থানে।
‘ব্লু-হোয়েল’ গেমের এডমিন খেলোয়ারকে একটার পর একটা কাজ করতে নির্দেশ দেন। যেগুলো ধীরে ধীরে কঠিন হতে কঠিনতম হতে থাকে। বলা হয়েছে যে, এই গেমের ধাপ ৫০টি। শেষ পর্যায়ে বা ৫০তম ধাপে খেলোয়ারকে তার জীবন দিতে চ্যালেজ্ঞ দেওয়া হয়। খেলোয়ারের আত্মহননের মাধ্যমে এই খেলার সমাপ্তি ঘটে থাকে। এ বিষয়ে অভিভাবকদের সতর্ক হওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে সন্তানরা এই গেমটির দিকে কোনো অবস্থাতেই ঝুঁকে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এই গেমটি কী, কে এটি তৈরি করেছে এবং এটি থেকে কিভাবে সতর্ক হওয়া যায় সে বিষয়ে জানতে হলে পড়ুন “আপনি কীভাবে চিনবেন ‘ব্লু হোয়েল’ আসক্তদের? সাবধান হোন এই বিপদজনক গেম থেকে”।