দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দিন যতো গড়াচ্ছে ততোই মুসলিম দেশ সৌদি আরব তার নীতি পরিবর্তন করছে। দিনে দিনে সব মানুষের দেশে পরিণত হচ্ছে সৌদি আরব।
এক সময় কট্টরপন্থি দেশ হিসেবে খ্যাতি ছিলো সৌদি আরবের। কিন্তু সেই কট্টর নীতি হতে ক্রমেই সরে আসছে দেশটি। এক সময় নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হতো না। বর্তমানে তা করা হচ্ছে। এখন নারীরাও সৌদি আরবে প্রার্থী হতে পারেন। এক সময় নারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হতো না। বর্তমানে নারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। এভাবে একের পর এই কট্টর নীতি হতে সৌদি আরব ক্রমেই সরে আসছে।
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ ঘোষণা করে বলেছেন যে, সৌদি আরব হবে সব মানুষের দেশ। সৌদি আরব মধ্যপন্থী ইসলামের পথে ফিরে যাবে। আগে এই আদর্শেই পরিচালিত হতো সৌদি আরব। সব ধর্ম পুরো বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত ছিল। রিয়াদে গত মঙ্গলবার বিনিয়োগ সম্মেলনে সৌদি যুবরাজ এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সৌদি যুবরাজ বলেছেন, ‘আমরা খুব শীঘ্রই কট্টরপন্থার অবসান ঘটাবো।’
ব্যবসায়িক সংবাদ পরিবেশনকারী মার্কিন টিভি চ্যানেল ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের মারিয়া বারতিরোমোর এক প্রশ্নের উত্তরে সৌদি যুবরাজ এই কথা বলেন।
তবে সৌদি যুবরাজের সাম্প্রতিক এইসব প্রতিশ্রুতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে খুব একটা আশ্বস্ত করতে পারবে বলে মনে করছেন না বিশ্লেষকরা। এর কারণ হলো, দেশটিতে কট্টরপন্থী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা প্রচণ্ড ক্ষমতাধর ও দেশজুড়ে তার প্রভাবও ব্যাপক।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে ৩২ বছর বয়সী যুবরাজ বিন সালমানকে সৌদি সিংহাসন এর উত্তরাধিকার মনোনীত করেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ। অনেকেই তাকে আধুনিক সৌদি রাজতন্ত্রের মুখ বলেও মনে করেন।