দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের কিছু বদ অভ্যাস থাকে যেগুলো শুধু শরীরের নয়, মস্তিষ্কেরও মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। আজ জেনে নিন এই বিষয়টি। যা আপনার উপকারে আসবে।
মস্তিষ্ক নিয়ে আমাদের গবেষণার শেষ নেই। আমরা মস্তিষ্ক নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা প্রতিবেদন পড়েছি। কিন্তু এই মস্তিষ্ক কি কি কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে, সে বিষয়ে আমাদের মোটেও ধারণা নেই।
আমরা জানি আমাদের দেহ পরিচালনার প্রথম ও প্রধান কাজ করে মস্তিষ্ক। মস্তিষ্ক ব্যতীত আমরা একটি জড়পদার্থ হয়ে যাবো। আমাদের সকল কর্মকাণ্ডের জন্য মস্তিষ্কের ওপর নির্ভর করতে হয়। বর্তমানে যে অভ্যাসগুলো আপনার মস্তিষ্কের তীক্ষ্ণ ভাব কেড়ে নিচ্ছে, তা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগও রয়েছে। জেনে নিন প্রতিদিন আপনি কি কি ভুল করছেন:
# অনিদ্রা, জাঙ্ক ফুড, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তাসহ বেশ কিছু কারণেও আপনার মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে।
# তাই সতেজ ও সুস্থ মস্তিষ্কের জন্য এই বিষয়গুলোর দিকে আপনার খেয়াল রাখতে হবে।
# অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার বদ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে চিনির ব্যবহার থাকেই। অতিরিক্ত চিনি সেবনের কারণে আমাদের শরীরে পুষ্টি এবং প্রোটিনের অভাব হয়ে থাকে। অনেক বেশি চিনি জাতীয় খাবার দেহের বিশেষ করে মস্তিষ্কের প্রোটিন এবংপুষ্টির শোষণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। যে কারণে মস্তিষ্কের নিউরণ এবং কোষ বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়, মস্তিষ্কের উন্নতি হয় না। এতে আমাদের মস্তিষ্কে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে।
# বেশি পরিমাণে আহার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। কারণ আমরা অনেকেই একবেলা খাবার বাদ দিয়ে পরের বেলা একবারে বেশি করে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলি। এটি দেহের জন্য যতোটা খারাপ, ততোটাই মস্তিষ্কের জন্য আরও বেশি মারাত্মক হতে পারে। এর কারণ হলো একবারে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে হুট করে দেহে সুগারসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান বেড়ে যেতে পারে। এতে করে মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরা শক্ত করে ফেলে। যে কারণে মস্তিষ্ক স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
# পরিমাণের থেকে কম ঘুমানো। আমাদের শরীরের অন্যান্য কোষের মতো মস্তিষ্কের কোষও নানাবিধ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। এই ক্ষতি মস্তিষ্ক পুষিয়ে কেবলমাত্র ঘুমের সময়। তাই কম ঘুমের কারণে আপনি মানসিক অবসাদে ভুগতে পারেন। প্রতিদিন কম ঘুমানোর কারণে ভবিষ্যতে আপনার মস্তিষ্ক সংকুচিত হয়ে যেতে পারে। যদি আপনি টানা দুদিন ভালোভাবে না ঘুমান, তাহলে অফিস বা বাসায় আপনার কাজের পরিমাণ কমে যাবে।
# সকালের নাস্তা না করার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। কারণ হলো অনেকেই সকালের নাস্তার ব্যাপারে উদাসীন থাকেন। তবে সারারাত আমরা থেমে থাকলেও আমাদের দেহের ভেতরটা থেমে থাকে না। সকালে নাস্তা না করলে দেহে সুগারের ঘাটতি হয়। এতে করে প্রয়োজনীয় পুষ্টি মস্তিষ্কে পৌঁছাতে বাঁধা দেয়। তাতে মস্তিষ্ক ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। তাতে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যায়।
# ধূমপান এবং মদ্যপানের মতো বদ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। ধূমপান ও মদ্যপান দুটোই মস্তিষ্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর একটি অভ্যাস। বিশেষ করে ধূমপান মস্তিষ্কের জন্য অভিশাপ। ধূমপানের কারণে মস্তিষ্কের শিরাউপশিরা সংকুচিত হয়। এতে পুষ্টি, রক্ত, অক্সিজেন ইত্যাদির সরবরাহও সঠিকভাবে হয় না। তাতে স্মৃতিশক্তি লোপের মতো মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয় মস্তিষ্ক।
# অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। ফাস্টফুডের আরেকটি ইংরেজি নাম হলো জাঙ্কফুড। এই জাঙ্কফুড আপনার মস্তিষ্ক ও হৃদয় দুইয়ের জন্যই ক্ষতিকর। প্রক্রিয়াজাত, মসলাদার জাঙ্কফুড ধীরে ধীরে আপনার মস্তিষ্কের কোষকে নিষ্ক্রিয় করে দেবে। তাই এইসব জাঙ্কফুড পরিহার করুন।