দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটেনের গ্লাসগো নগর কাউন্সিল মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা সু চি কে দেওয়া ‘ফ্রিডম অব সিটি’ খেতাব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে! ইতিমধ্যেই অং সান সু চিকে দেওয়া সম্মান প্রত্যাহার করে নেওয়ার পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোটও দিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ব্রিটেনের গ্লাসগো নগর কাউন্সিল মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা অং সান সু চিকে দেওয়া সম্মান প্রত্যাহার করে নেওয়ার পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর হত্যা, নির্যাতনে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও এই ঘটনায় মিজ সুচির প্রতিক্রিয়ার প্রতিবাদ স্বরূপ ‘ফ্রিডম অব সিটি’ খেতাব প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে সু চি যখন মিয়ানমারে তার বাসভবনে অন্তরীণ অবস্থায় ছিলেন, তখন তাকে এই খেতাবটি দিয়েছিলো গ্লাসগো নগর কাউন্সিল।
গ্লাসগোর লর্ড প্রভোস্ট ইভা বোল্যান্ডার বলেছেন যে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নৃশংসতার ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়ে, ও সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি ও নগরীর কাউন্সিলর মিজ সুচিকে একটি চিঠি লিখেছিলেন।
“আমরা তার যে প্রতিক্রিয়া দেখেছি, তা হতাশাজনক ও দুঃখের বিষয়ও।” খেতাব ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনাকে তিনি নজিরবিহীন বলে বর্ণনা করেছেন।
আগষ্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা-নির্যাতন শুরুর পর হতে প্রাণ বাঁচাতে এই পর্যন্ত ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে।
গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি হতে সু চিকে দেওয়া সম্মানজনক ডিগ্রি ফেরত নেওয়ারও একটি দাবি উঠেছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেটি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
মাত্র কয়েকদিন পূর্বেই, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে উদাসীনতা’ দেখানোর অভিযোগে ব্রিটেনের অপর এক শহর শেফিল্ডও সু চিকে দেওয়া ‘ফ্রিডম অব সিটি’ খেতাব প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়।
শেফিল্ডের কাউন্সিলর সোরাইয়া সিদ্দিকী বলেছেন যে, সু চিকে দেওয়া সম্মানটি যদি আমরা চালিয়ে যাই, তাহলে আমাদের শহরের সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ হবে।