দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবারও মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী ও দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন। চুক্তি স্বাক্ষরের ৩ সপ্তাহের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত সোমবার ৩১ তম অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশন্স (আসিয়ান) সম্মেলনের প্লেনারি অধিবেশনে এই প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন সু চি। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ৩ সপ্তাহের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার।
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ম্যানিলা বুলেটিন এক খবরে বলেছে, আসিয়ান সম্মেলনের সভাপতিত্ব করা ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তের মুখপাত্র হ্যারি রক জুনিয়র জানিয়েছেন, সম্মেলনে মিয়ানমারের কাছে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এই উদ্বেগের পর সু চি জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ৩ সপ্তাহের মধ্যে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
হ্যারি রক আরও জানান, সম্মেলনে যখন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা জানতে চাওয়া হয় তখন মিয়ানমার জানায় যে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের মানবিক সহযোগিতাকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
দুয়ার্তের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, ফিলিপাইন শুধু মারাউই শহরের বাস্তুচ্যুতদের পাশাপাশি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সহযোগিতা প্রয়োজন বলে স্বীকারও করেছে।
অবশ্য এর আগে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক খবরে জানিয়েছে, আসিয়ান সম্মেলনের খসড়া ঘোষণায় রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। মঙ্গলবার সম্মেলন শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা পাঠ করা হয়। ঘোষণার একটি অনুচ্ছেদে ভিয়েতনাম এবং ফিলিপাইনে মানবিক সহযোগিতার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। একইভাবে রাখাইনে ‘আক্রান্ত সম্প্রদায়’কে মানবিক সহযোগিতার কথা কেবলমাত্র উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও রাখাইনে চলমান সামরিক অভিযানের মুখে ৬ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার বাংলাদেশে পালিয়ে আসার বিষয়ে কোনও রকম বক্তব্য নেই।
রয়টার্স বলেছে, খসড়ায় রাখাইনের পরিস্থিতির কোনও বিস্তারিত তথ্যই দেওয়া হয়নি এবং রোহিঙ্গা শব্দও ব্যবহার করা হয়নি। মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি বিদেশি নেতাদের রোহিঙ্গা শব্দ ব্যবহার না করার আহ্বান জানান।
চলমান রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর হতে আসিয়ান সদস্য মালয়েশিয়া গভীর উদ্বেগ জানিয়ে আসছিল। তবে আসিয়ানের নীতি সদস্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা না বলার নিয়ম থাকার কারণে বিষয়টি সম্মেলনের আলোচ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি। ইতিপূবেৃ সেপ্টেম্বর মাসে আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বক্তব্য হতে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয় রোহিঙ্গা ইস্যু না থাকায়।