দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বটে। অনলাইনে প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছে দেড় লাখেরও বেশি শিশু! এটি যেমন একদিকে শিশুদের মেধা বিকাশে সহায়তা করছে অপরদিকে দুনিয়ার তাবৎ নষ্টামি শিশুদের আয়ত্তে চলে আসছে।
এই তথ্যটি বেরিয়ে আসার পর জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ শিশু ও তরুণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সুরক্ষায় আরও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে।
সংস্থাটি বলেছে যে, প্রতিদিন নতুন করে ১ লাখ ৭০ হাজার শিশু ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এই তথ্য দেওয়া হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
যেহেতু ইন্টারনেটে শিশু ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে, সে কারণে তাদের অনলাইন পরিচয় এবং তথ্য উপাত্ত নিরাপদ রাখার জন্য আরও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয় যে, একই সঙ্গে ইউনিসেফ শিশুদের শৈশবের বানিজ্যিকীকরণ নিয়েও গভীর উদ্বিগ্ন। সংস্থাটি পরামর্শ দিয়ে বলেছে যে, একজন শিশু যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খোলে তখন সেসব সাইটে তার সঙ্গেই সর্বোচ্চ প্রাইভেসি সেটিংসের ব্যবস্থা থাকা দরকার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও শিশু ও তরুণদের অনলাইনে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে।
খবরে বলা হয়েছে, অনলাইনে শিশুদের নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশেও সরকারি এবং বেসরকারিভাবে নানা ধরনের উদ্যোগের কথা শোনা যায় বিভিন্ন সময়। চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশের ওপর চালানো এক জরিপে বলা হয়- এসব দেশে সাইবার বুলিংয়ের ঝুঁকি উদ্বেগজনক ও বিশেষ করে যারা অনলাইন গেম খেলেন তাদের সাইবার বুলিংয়ে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি এশিয়ান দেশে এই জরিপটি পরিচালনা করে টেলিযোগাযোগ কোম্পানি টেলিনর। এই জরিপের উত্তরদাতাদের বয়সসীমা ছিল ১৮ হতে ৬৪ পর্যন্ত। তবে তাদের পরিবারের আরও কমবয়স্ক শিশুরা কতোটা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে- সে তথ্যও পাওয়া গেছে তাদের নিকট হতেই।
ওই জরিপে ৭৯ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছিল যে, তাদের সন্তান ও পরিচিত শিশুরা বিশেষ করে ওয়েবসাইট কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনলাইন গেমস খেলার সময় শারীরিকভাবে আক্রান্ত হওয়ার হুমকির শিকারও হয়েছে। এটি ঘটে থাকে বিশেষ ওয়েবসাইটে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মে।
ওই জরিপের ৪১ শতাংশ জানিয়েছেন, শিশুরা অনলাইনে যেসব আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার হয়েছে, তারমধ্যে রয়েছে গালাগালি, বর্ণবাদী এবং যৌনতা বিষয়ক মন্তব্য। তাই সময় থাকতে শিশুদের অনলাইনে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি আরও সিকুর করা দরকার বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।