দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনে সমপ্রতি ধর্ষণ ঘটনা বৃদ্ধি বিশেষ করে বেইজিংয়ে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে নারীদের যৌন হয়রানির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে বেইজিং পুলিশ মেয়েদের বাস অথবা সাবওয়েতে চলাকালীন অশালীন পোশাক পরে যাতায়াত করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।
সামপ্রতিক সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্ষণ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। ভারতের সামপ্রতিক কাহিনী সারাবিশ্বকেই ভাবিয়ে তুলেছে। শুধু ভারত নয় চীনেও এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। চীনের সরকারি দৈনিক চায়না ডেইলিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিং পুলিশ এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অথরিটি যৌথভাবে মেয়েদের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করার সময় মেয়েদের মিনি-স্কার্টের মতো স্বল্পবসনের যে কোন অশালীন পোশাক পরিহার করা উচিত। এছাড়াও যৌন হয়রানির শিকার হলে তৎক্ষণাৎ পুলিশকে অবহিত করতে পরামর্শ দেয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, অসঙ্গত ছবি তোলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত না হতে মেয়েদের উচিত বাসের উপরের তলায় বসে না যেয়ে নিচের তলায় দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করা। এবং তাদের উচিত ব্যাগ, ম্যাগাজিন ও নিউজপেপার দিয়ে নিজেদের শরীর ঢেকে রাখা।
অপর দিকে এধরনের হয়রানির সময় কেও যদি হাতেনাতে ধরা পড়ে ১৫ দিনের শাস্তির বিধান নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে এ ধরনের প্রতিকার ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে সমালোচকরা সন্দিহান। জিয়ামেন ইউনিভার্সিটির আইনবিষয়ক অধ্যাপক জিয়াং ইউ বলেন, পুলিশের সতর্কবাণী প্রকাশে সমস্যাটি সমূলে নির্মূল হবে না। তার মতে পরিবহন কর্তৃপক্ষের উচিত বাসে ও সাবওয়েতে সতর্কবার্তা প্রচার করা। যাত্রীরা যেহেতু পয়সা দিয়ে যাতায়াত করে কাজেই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পরিবহন কর্তৃপক্ষের। তিনি যৌন হয়রানি রোধ করার জন্য পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়নের পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, সমপ্রতি বাস ও সাবওয়েতে মোবাইল দিয়ে লুকিয়ে ছবি তোলা ও জোর করে জড়িয়ে ধরার প্রচুর অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। এ কারণেই মূলত পাবলিক ট্রান্সপোর্টগুলোতে যৌন হয়রানি রোধ করতে নতুন এ দিক নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে, অতি সমপ্রতি ভারতে বাসে ধর্ষণ ঘটনার প্রেক্ষিতে সেখানকার একটি রাজ্যে মেয়েদের হিজাব (বোরখা) পরার নির্দেশ দেয়।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।