দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুধু ভারত নয়, সমগ্র বিশ্বজুড়েই যাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে আছে। সেই বিশ্বখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ এ আর রহমান সম্পর্কে কিছু তথ্য আজ তুলে ধরা হলো, যা আপনার অজানা।
যাঁর কম্পোজিশন কানে এলে মনের মধ্যে সূক্ষ্ম আবেগের ঘনঘটা বেড়ে যায়। যিনি অস্কারজয় করেছেন সেই বিশ্বখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ এ আর রহমান সম্পর্কে আজ রয়েছে বেশ কিছু অজানা তথ্য। যা আপনি নিজেও হয়তো কখনও শোনেননি।
আজ তুলে ধরা হলো অজানা তথ্যগুলো:
# এ আর রহমান আগে এ আর রহমান ছিলেন না। আসলে তিনি ছিলেন দিলীপ কুমার। পরে সুফি ইসলাম গ্রহণ করেন কাদরি সাহেবের সংস্পর্শে এসে। তার সঙ্গীতেও সুফিবাদ রয়েছে। এক সাক্ষৎকারে তিনি বলেছিলেন, দিলীপ কুমার নামটি তার ভালো লাগতো না। এক হিন্দু জ্যোতির্বিদই তার মুসলিম নামটি রেখেছিলেন।
# ভারতীয় তামিল ছবি ‘রোজা’তে এই সঙ্গীতজ্ঞের বিরল প্রতিভার সন্ধান পান মণি রত্নম। ওই ছবিতে গানের জন্য তিনি ২৫ হাজার রুপি পান। এই ছবি তাকে কেবল খ্যাতিই দেয়নি, জাতীয় পুরস্কারও এনে দিয়েছিল।
# এ আর রহমানের বাবা এর কে শেখর ছিলেন চলচ্চিত্রের কম্পোজার # তামিল-মালায়লাম ছবির পরিচালক। তার বাবার ঘরের দেওয়ালে লতা মুঙ্গেশকরের ছোট্ট একটা ছবি দেখতেন এ আর রহমান। প্রতিদিন লতাজির ছবি দেখেই তিনি নিজের কাজে বসতেন।
# খুব ছোটকাল হতেই তাকে সঙ্গীতের আশপাশেই আনাগোনা করতে দেখা যেতো। দূরদর্শনের ওয়ান্ডার বেলুন অনুষ্ঠানে তিনি জনপ্রিয় হন শিশুকাল থেকেই। একসঙ্গে ৪টি কিবোর্ড বাজাতে পারতেন এ আর রহমান।
# এ আর রহমান কেবল আন্তর্জাতিক মানের পুরস্কারই হাসিল করেননি, তিনি কানাডার অন্টারিও’র মার্কহাম স্ট্রিট তার নামে নামকরণও করা হয়েছে। ফ্রান্সের একটি টিভি বিজ্ঞাপনে এ আর রহমানের ‘বোম্বে’ ছবির থিম সং ব্যবহার করা হয়।
#এ আর রহমানের অস্কারজয়ী ‘জয় হো’ গানটি সালমান খানের ‘যুবরাজ’ ছবির জন্য বানানো হয়েছিল। তার ‘দিল সে’ ছবির ‘ছাইয়া ছাইয়া’ গানটি ডেনজেল ওয়াশিংটনের ‘ইনসাইড ম্যান’ ছবিতে ব্যবহৃত হয়েছে।
# ছোটকালের বন্ধু সিভামানি, জন অ্যান্টোনি, সুরেশ পিটার্স, রাজা ও জো জো এর সঙ্গে একটি ব্যান্ড গঠন করেছিলেন এ আর রহমান। সেখানে কিবোর্ড বাজাতেন তিনি।
# এ আর রহমান এবং তার ছেলের জন্মতারিখ একই দিন!