দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো মেয়েরা গুগলে বেশি সার্চ করে বা খোঁজে। এমন কিছু বিষয় নিয়ে রয়েছে আজকের এই প্রতিবেদনটি। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক কী কী বিষয়গুলো মেয়েরা খুঁজে থাকে।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তির বদৌলতে হাতের মুঠোয় এসে গেছে সবকিছু। এমন এক পরিস্থিতিতে মানুষ ঘরে বসেই নানা বিষয় জানতে পারছেন। যে কোনো কিছু জানার জন্য গুগলে সার্চ দিলেই হলো। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে গুগলে মেয়েরা গোপনে যে বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি সার্চ করে থাকে। আজ রয়েছে সেই বিষয়গুলো নিয়েই প্রতিবেদন। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী কী বিষয় মেয়েরা খোঁজে গুগলে।
ত্বকের ধরণ নির্ণয় হবে কিভাবে
ত্বকের ধরণ নির্ণয় হবে কিভাবে এই প্রশ্নটি মেয়েরা বেশি করে থাকে। কারণ হলো ত্বক নিয়ে বিশেষ করে তরুণীদের চিন্তায় কাটে দিন-রাত। ত্বক কি রুক্ষ্ম নাকি তৈলাক্ত এসব জানতে তারা সহায়তা নিয়ে থাকে গুগলের। এই প্রশ্নের সবচেয়ে ভালো ও বিজ্ঞানসম্মত উপায় হলো একটি মেডিকেল স্কিণ টেস্ট করানো। ঘরে বসেও প্রাথমিক পদ্ধতিতে ব্লটিং পেপার ব্যবহার করে স্কিণ টেস্ট করানো সম্ভব। প্রথমে ব্লটিং পেপারটি আপনার ত্বকের বিভিন্ন এলাকায় লাগিয়ে দিন। তারপর তা তুলে আলোতে নিয়ে দেখুন। এতে যদি প্রচুর পরিমাণ তেল থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার ত্বকের ধরন হলো তৈলাক্ত। যদি কম তেল থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার ত্বক হলো শুষ্ক ত্বক।
ফর্সা ত্বক পাওয়া যাবে কীভাবে
ফর্সা ত্বক পাওয়া যাবে কীভাবে- এই প্রশ্নটিও করে থাকে মেয়েরা। কারণ হলো ত্বক ফর্সা হোক সেটি সব মেয়েরই চাওয়া। কিভাবে ত্বক ফর্সা হবে সেটি তারা খোঁজ করে গুগলে।
এই বিষয়ে গবেষকরা বলেছেন, ত্বক ফর্সা হওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনই হলো মূল চাবিকাঠি। এজন্য প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে, ফল এবং জুসও খেতে হবে, ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে ও শরীর চর্চাও করতে হবে।
চুল পড়ার কারণ এবং প্রতিকার
চুল পড়ার কারণ এবং প্রতিকার জানতে চান অনেকেই। আমরা সবাই জানি চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে কে না চায়? বর্তমানে চুল পড়া একটি কমন ও বড় সমস্যা। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী জানতে মেয়েরা সব সময় ঢু মারে গুগলে। এমনকি অফিসে কাজের ফাঁকে ফাঁকেও চুপি চুপি এই কাজটি করে থাকে মেয়েরা।
অবাঞ্ছিত লোম অপসারণের নিরাপদ পদ্ধতি কী?
গুগলে লুকিয়ে লুকিয়ে তরুণীরা আরও একটি বিষয়টি সবচেয়ে বেশি জানার চেষ্টা করে আর সেটি হচ্ছে দেহের অবাঞ্চিত লোম কিভাবে নিরাপদে অপসারণ করা সম্ভব। এই লোম অপসারণের রয়েছে একাধিক উপায়। আপনি কোন উপায়টি ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করছে আপনার ত্বকের ধরন ও লোম গজানোর তীব্রতার ওপরই। চোখের ভ্রুর জন্য থ্রেডিং ও টোয়েকিং ভালো কাজ করে। হাত কিংবা পায়ের জন্য সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো ওয়াক্সিং। আপনি যদি লেজার হেয়াল রিমুভাল পদ্ধতি ব্যবহার করতে চান তাহলে অভিজ্ঞ কোনো কসমেটিক সার্জনের সঙ্গে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে।
চুলে কয়দিন বিরতিতে শ্যাম্পু করতে হয়?
চুলে কয়দিন বিরতিতে শ্যাম্পু করতে হয়? এই প্রশ্নটিও মেয়েরা করে থাকে গুগলে। সাধারণত শ্যাম্পু তখনই করা উচিত যখন চুল এবং মাথার ত্বকে ময়লা জমে। তবে একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর শ্যাম্পু করালে চুল বেশ ভালো থাকে। চুলের যত্নে শ্যাম্পু করার পাশাপাশি তেল, কন্ডিশানার, ভলুমাইজার ও অন্যান্য জিনিসও ব্যবহার করতে হয়। অনেকেই প্রতিদিন শ্যাম্পু করার কথা শুনে আঁতকে ওঠতে পারেন। তবে আপনার চুলে যদি প্রতিদিনই কদাকার হয়ে ওঠে সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিদিনই শ্যাম্পু করাতে হবে। এতে কোনো ক্ষতি হবে না বলে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চোখের নিচের ফোলাভাব দূর করার উপায় কী?
গুগলে তরুণীরা আরও একটি প্রশ্ন করেন সেটি হলো, চোখের নিচের ফোলাভাব দূর করার উপায় কী? শসা ও আলুর ফালি ও আইস কিংবা ঘুমের রুটিন বদলে আপনি আইব্যাগ কিংবা চোখের ফোলাভাব হতে মুক্ত হতে পারেন। তবে কখনও কর্কশ কিছু ব্যবহার করবেন না। কারণ সেটি আপনার চোখেরও দৃষ্টির ক্ষতি করতে পারে। তাতেও যদি আইব্যাগ দূর না হয় তাহলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞর পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
ঋতুস্রাবের সমস্যা
ঋতুস্রাবের সমস্যা নিয়েও গুগলে সার্চ করা হয়ে থাকে। যৌবনের শুরুতেই ঋতুস্রাবের সমস্যা অনেক তরুণীর দেখা দেয়। এই বিষয়টি তাদের পরিবারের কাছে গোপন করে থাকে। তাই এই বিষয় জানতে গুগলে সার্চ দেওয়া হয় গুগলে।
তক্বের বলিরেখা দূর করার উপায়
তক্বের বলিরেখা দূর করার উপায় সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয় গুগলে। পরামর্শ দেওয়া হয় যে, প্রথম থেকেই ত্বকের যত্ন শুরু করুন। ৩০ বছর হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গেই ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। তবে আপনি যদি বলিরেখা পড়ার জন্য অপেক্ষা করেন ও এরপর তা থেকে মুক্ত হতে চান তাহলে বড় ভুল করবেন। বলিরেখার প্রথম লক্ষণগুলো হলো কপালে ভাজপড়া। ওয়েবে ত্বকের বলিরেখা দূর করার ঘরোয়া দাওয়াই সম্পর্কিত নানা লেখাও রযেছে। সেসব পড়ে পড়ে ত্বকের যত্ন করুন ধৈর্য্যসহকারে।
স্মোকি আই মেকআপ
স্মোকি আই মেকআপ সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়। স্মোকি আই মেকআপ করার পদ্ধতি সম্পর্কেও ইন্টারনেটে প্রচুর সংখ্যক লেখা রয়েছে। যে কোনো একটি পদ্ধতি বাছাই করে সেই মতো কাজ করতে হবে। তবে কখনই দুটো পদ্ধতি সমন্বয় করতে যাবেন না। কারণ তাহলে বিপদ হতে পারে। এতে চোখের ক্ষতিও হতে পারে। যেসব কসমেটিকস কেবল চক্ষুবিজ্ঞান-এর পদ্ধতি পরিক্ষীত কেবল সেসবই ব্যবহার করতে হবে।