দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারত শাসিত কাশ্মীরে মানসিক রুগির সংখ্যা বাড়ছে। সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের বিপুল সংখ্যক মানুষ তীব্র মানসিক যন্ত্রণার মধ্যদিয়ে নিজেদের পার করছেন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ভারত শাসিত কাশ্মীরের বহু সংখ্যক মানুষ তীব্র মানসিক যন্ত্রণার মধ্যদিয়ে পার করছেন। ২০১৬ সালে হতে সেখানে যে অশান্তি চলছে তার কারণে মানসিক রোগীর সংখ্যা বেশ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।
মনোবিজ্ঞানীরা বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক-রাজনৈতিক অশান্তি, বেকারত্ব, দারিদ্র্য ও অনিশ্চয়তায় ভরা জীবন কাটাতে বাধ্য হয়ে শেষ পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক কাশ্মীরী ব্যাপক মানসিক চাপের মধ্যে পড়েছেন। স্বাভাবিক হওয়ার সুযোগ আসার আগেই আবারও নতুন করে অশান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাদেরকে।
জানা যায়, তাদের স্বতঃস্ফূর্ত মত প্রকাশের জায়গাগুলোও স্তব্ধ। তাই অনেক সময় ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটছে পাথর ছোঁড়ার মতো আক্রমণাত্মক ব্যবহারের মধ্যেদিয়ে।
এই বিষয়ে ভারত শাসিত কাশ্মীরের প্রধান মনোরোগ চিকিৎসা কেন্দ্র মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও সংলগ্ন ইন্সটিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ এন্ড নিউরোসায়েন্সেস (ইমহ্যানস)-এর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে কাশ্মীরে টানা রাজনৈতিক অশান্তির পর হতে চিকিৎসা করাতে আসা মানসিক রোগীর সংখ্যা এক লাফে প্রায় ১০ হাজার বেড়ে গেছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন, ২০১৬ সালে ৪০ হাজার মানসিক রুগির চিকিৎসা দিলেও পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজারে। মূলত কাশ্মীরে ১৯৮৯ সালে সংঘাত শুরু হওয়ার পর হতেই ক্রমাগত বেড়েই চলেছে মনোরোগীর সংখ্যা।
ওই মেডিক্যাল কলেজের মনোরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. আর্শাদ হুসেইন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “১৯৮৯ সালে আমাদের বিভাগে ১৭০০ জনের মতো মানুষ চিকিৎসা নিয়েছিল, তবে ৯০-এর দশকের শেষ দিকে সংখ্যাটা বছরে এক লক্ষেরও বেশিতে পরিণত হয়েছে। যা সত্যিই অস্বাভাবিক বলেই মনে হচ্ছে।